ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এটুআই বিল সংশোধনের দাবি তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনগুলোর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
এটুআই বিল সংশোধনের দাবি তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনগুলোর

ঢাকা: সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাস হওয়া এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) বিল, ২০২৩-এ প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন আনার দাবি জানিয়েছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পাঁচ সংগঠন।

সোমবার (১০ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেসিস মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এ দাবি জানায়।

 

এতে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি মো. ইমদাদুল হক, ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল এবং বাণিজ্য সংগঠনগুলোর কার্যনির্বাহী সদস্যসহ শতাধিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এটুআই বিল-২০২৩ এর মোট ১৩টি ধারা ও ১৫টি উপধারায় প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়- নির্বাহী কমিটিতে সব আইসিটি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাখতে হবে; এটুআই কোনো প্রকার যৌথ বা অংশীদারী কারবারে অংশ নিতে পারবে না; এটুআই কোম্পানি গঠন করতে পারবে না।

কিন্তু, গত ৫ জুলাই জাতীয় সংসদে এটুআই বিল ২০২৩ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত উপরোক্ত তিনটি সংশোধন প্রস্তাবের দুটি বিষয় বিবেচনা করা হলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তথা, এজেন্সি প্রয়োজন অনুযায়ী কোম্পানি গঠনের ক্ষমতা (ধারা ২১) এখনো বিদ্যমান রয়েছে, যা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সবসময় বলে আসছেন সরকার ব্যবসা করবে না, ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতের অবস্থান সুদৃঢ় করতে ব্যবসা-সহায়ক পরিবেশ তৈরির কোনো বিকল্প নেই।

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, এটুআইকে কোম্পানি গঠনের ক্ষমতা দেওয়ার ধারাটি রয়ে গেল। এর মাধ্যমে, এটুআই যেকোনো ধরনের কোম্পানি গঠন করে যেকোনো সেবা দিতে পারবে। এই ধারাটি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ভীষণভাবে সাংঘর্ষিক। এমতাবস্থায়, পাস হওয়া এটুআই বিল-২০২৩ এর ২১ ধারায় বর্ণিত কোম্পানি গঠনের ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে রহিত করার পাশাপাশি অন্যান্য সাংঘর্ষিক ধারাসমূহে প্রয়োজনীয় সংশোধনপূর্বক বিলটি পুণর্মুদ্রণের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।

বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, আমরা সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলাম এবং দাবিগুলোর সঙ্গে একমত এবং স্মার্ট বাংলাদেশের স্বার্থে এই ধারা বাতিল করে আইনটি সংশোধন প্রয়োজন। এই শিল্পের উন্নয়ন গতিশীল রাখতে বিলটি সংশোধন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, পাস হওয়া এটুআই বিল-২০২৩ অনুসারে, সরকার ব্যবসার ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে বেসরকারি খাতকে সহযোগিতা করবে কিন্তু নিজে ব্যবসার অংশ হবে না। এজন্য আমরা আনন্দিত। এসপায়ার টু ইনোভেটের স্থায়ী কাঠামো হিসেবে এজেন্সি টু ইনোভেট পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর এবং নাগরিকের জীবনমানে সৃষ্ট সেবা অধিকতর কার্যকর ও টেকসই করতে কাজ অব্যাহত রাখবে। আইএসপিএবিসহ সব আইসিটি সংগঠন এসব কাজে সহযোগী হিসেবে পাশে থাকবে।  

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, সব অ্যাসোসিয়েশনের সম্মিলিত দাবি আইসিটি উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী শিগগিরই সম্পাদন করবেন, এটাই প্রত্যাশা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
এমআইএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।