বরগুনা: বরগুনা থেকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (কারাগার) নেওয়ার পথে পুলিশের হাত থেকে পালানোর তিন ঘণ্টা পর এক কিশোর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে তাকে বরগুনার বামনা উপজেলার নিজামতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বামনা থানা পুলিশ।
নিজাম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আসামি দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে এমনটা দেখে আমিও পেছনে পেছনে দৌড়াই। সাঁতরে খাল পার হয়েও তাকে ধরতে পারিনি। পরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুলাই ১৯ পিস ইয়াবাসহ জনি ও মাহমুদ নামের দুই কিশোরকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়। তারা দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক।
পলাতক আসামির নাম মাহামুদ (১৬)। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে বরগুনার দুই পুলিশ সদস্য দুই কিশোর আসামিকে নিয়ে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে বিআরটিসি বাসে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে (কারাগার) নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। বাসটি বামনার তুলাতলা নামক স্ট্যান্ডে থামলে জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় মাহমুদ। আসামি কিশোর হওয়ায় তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল না।
পরে বামনা থানা পুলিশের তৎপরতায় উপজেলার নিজামতলী (সোনাখালী) এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে ওই কিশোরকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, আসামি পালানোর খবর পেয়ে এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই কিশোর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সে বামনা থানা হেফাজতে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
আরএ