ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইঞ্জিনের গরম পানিতে ঝলসে গেল ট্রেনচালকের শরীর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
ইঞ্জিনের গরম পানিতে ঝলসে গেল ট্রেনচালকের শরীর

চাঁদপুর: চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলরুটের আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার সাইদ মো. আবু তাহেরের শরীর ইঞ্জিনের গরম পানিতে ঝলসে গেছে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে ঘটনাটি ঘটলেও রেলওয়ের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার শোয়েবুল শিকদার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, ট্রেনচালক মারাত্মকভাবে আহত হওয়ায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জরুরিভাবে কুমিল্লা পাঠানো হয়। এই ঘটনায় ট্রেনে থাকা সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় নারী, পুরুষ ও শিশুরা ট্রেনের মধ্যে দুর্ভোগে পড়েন।

এদিকে, ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ায় উত্তেজিত কিছু যাত্রী তাৎক্ষণিক ট্রেনের সামনে এসে বিক্ষোভ করেন এবং তারা ট্রেনের ভেতরে ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। পরে রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মুরাদ উল্লাহ বাহারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাৎক্ষণিক লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

অপরদিকে, ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কারণে নতুন ইঞ্জিন এলএম-২৯১৬ লাকসাম থেকে আসার পর নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৩ ঘণ্টার বিলম্বে সকাল ৮টার দিকে চাঁদপুর থেকে চট্রগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

চাঁদপুর স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, আন্ত:নগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিনের মত চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ছাড়ার পূর্বেই চাঁদপুর স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়ানো অবস্থায় ইঞ্জিন মাত্রাতিরিক্ত গরম হয়ে পড়ে। এতে করে চালক বুঝতে পেরে ট্রেনটি যাত্রা না করে স্টেশনে অবস্থান করে। এ সময় ট্রেনের প্রধান লোকোমাস্টার (চালক) কামাল হোসেন ও সহকারী লোকো মোটিভ (সহকারী চালক) সাঈদ মোহাম্মদ তাহের ইঞ্জিনটিকে ঠান্ডা করতে বাহির থেকে পানি এনে ইঞ্জিনে দিতে থাকেন।

এ সময় ইঞ্জিনের গরম পানি ছিটকে এসে সহকারী লোকো মোটিভ (সহকারী চালক) সাঈদ মোহাম্মদ তাহেরের শরীরে গিয়ে পড়ে তার সমস্ত শরীর জ্বলছে যায়। পরে রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারীরা ও এলাকাবাসীর সহায়তায় ট্রেনের ইঞ্জিনে বেশ কিছু সময় নিয়ে পানি দিয়ে ঠান্ডা করেন। তখন থেকেই ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে পড়ে।

চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার শোয়েবুল শিকদার জানান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নির্দেশে লাকসাম থেকে একটি নতুন ইঞ্জিন এনে প্রায় ৩ ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেনটি চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ত্যাগ করে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে কিছু সময়ের জন্য দুর্ভোগে পড়েন তারা। যাত্রীদের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।