বরিশাল: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ছয়মাইল ইউনিক পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস বরিশাল সদর দক্ষিণ স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. বাহাউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বাবুগঞ্জ উপজেলার মানিককাঠির উদ্দেশে যাচ্ছিলো একটি ট্রলি। এ সময় বিপরীত দিকে থেকে আসা গুনগুন ট্রাভেলসের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ট্রলির হেলপার মো. নাদিমের মৃত্যু হয়। তিনি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা।
তিনি জানান, এ ঘটনায় আহত পাঁচ জনকে দ্রুত উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এয়ারপোর্ট থানাধীন কলসগ্রামের বাসিন্দা কালাম হোসেনের ছেলে ও ট্রলির শ্রমিক এমদাদুল হককে (৩২) মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত বাবুগঞ্জের উত্তর রহমতপুরের বাসিন্দা ফারুক হোসেনের ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন (১৭) ও সিনবাদ (২৫) এবং উজিরপুরের ইউসুফ আলীর ছেলে মো. নাসির উদ্দিন (৩৫) এবং বাকেরগঞ্জের হাবিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে মো. হামিম হাওলাদারসহ (৩৫) চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর আহতদের মধ্যে সিনবাদ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা রিয়াদ জানান, বাবুগঞ্জের মানিককাঠি এলাকা থেকে একটি ট্রলি বালু বোঝাই করে মাধবপাশার রাজমাথা এলাকায় যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে একটি বাসের সঙ্গে ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রলির চালক, হেলপার ও এক শ্রমিক মারা গেছেন। আর গুরুতর আহত তিন শ্রমিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নাদিম নামে ট্রলির এক শ্রমিক ও হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অপর শ্রমিক এমদাদকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত চারজনের মধ্যে ট্রলির চালক সিনবাদের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও সহকারী পালিয়েছেন। তবে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রলি জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
এমএস/আরআইএস