ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সহকর্মীদের শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত কার্টুনিস্ট এমএ কুদ্দুস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
সহকর্মীদের শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত কার্টুনিস্ট এমএ কুদ্দুস

ঢাকা: সহকর্মীদের ভালোবাসা ও শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কার্টুনিস্ট এমএ কুদ্দুস।

শনিবার (১৫ জুলাই) বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে সাংবাদিক এমএ কুদ্দুসের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তার সহকর্মী, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও শ্রেণি পেশার মানুষ।

এর আগে এমএ কুদ্দুসের জানাজা পরিচালনা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের ইমাম মাওলানা মনিরুজ্জামান।

জানাজা শেষে একে একে জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), সাপ্তাহিক একতা পত্রিকা, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, দৈনিক সংবাদ, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, ঢাকাস্থ রাজবাড়ী সাংবাদিক সমিতি, সাউথ বাংলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক এমএ কুদ্দুসের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, আজ সকালেই এমএ কুদ্দুসের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। এমএ কুদ্দুসের বয়স কম ছিল। এই অল্প সময়ে সমস্ত প্রতিভা বিকাশিত হওয়ার আগেই তাকে চলে যেতে হলো।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, এমএ কুদ্দুস একজন সৎ ও ভালো মানুষ ছিলেন। আপনাদের কাছে তার জন্য দোয়া চাই, যাতে আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, এমএ কুদ্দুস অত্যন্ত নির্লোভ, সৎ, সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। তার আদর্শ আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।

পরিবারের পক্ষ থেকে এমএ কুদ্দুসের চাচা বসুন্ধরা গ্রুপের চিফ ইঞ্জিনিয়ার হানিফ বলেন, এমএ কুদ্দুস ছোট বেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিল ও কাজের প্রতি যত্নশীল ছিল। যখন কোনো কাজ করতো, তখন খুব যত্ন ও সময় নিয়ে করতো। বাড়িতে গেলে ছোট ছোট বাচ্চারা তাতে ঘিরে রাখতো ছবি এঁকে দেওয়ার জন্য। আজ সে চলে গেছে। তার চলার সময় যদি কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার বা অন্যায় করে থাকে, আপনারা তাকে ক্ষমা করে দিবেন।  

এ সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শাহীনবাগের বাসায় স্ট্রোক করে এমএ কুদ্দুস মারা যান বলে জানান তার ভাই সাংবাদিক শাহজাহান মোল্লা।

তিনি সর্বশেষ দৈনিক সংবাদে কর্মরত ছিলেন। এর আগে দৈনিক ইত্তেফাকসহ আরও কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছেন।

তার জন্মস্থান রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে। আজ বাদ এশা জানাজা শেষে তাকে সেখানেই সমাহিত করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
এসসি/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।