ঢাকা, শুক্রবার, ৪ আশ্বিন ১৪৩২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ধানমন্ডিতে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়া গৃহকর্মী মারা গেছেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫৯, জুলাই ১৫, ২০২৩
ধানমন্ডিতে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়া গৃহকর্মী মারা গেছেন

ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসার ছয়তলার বারান্দা দিয়ে লাফিয়ে পড়া গৃহকর্মী নাসিমা (১৯) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।  

শনিবার (১৫ জুলাই) ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুয়ীদ খান বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

এর আগে শুক্রবার (১৪ জুলাই) দিনগত রাত ১২টার দিকে ধানমন্ডি এক নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।

এস আই মুয়ীদ খান জানান, শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে দ্রুত সেখান থেকে ওই গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

তিনি জানান, ধানমন্ডির ওই বাসায় গৃহকর্ত্রী লায়লা নাহিদের বাসায় গত তিন মাস ধরে কাজ করতেন নাসিমা। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

নাসিমার মা নাজমা বেগম জানান, তাদের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া কালিকানগর গ্রামে। বর্তমানে তারা সাভারের ফুলবাড়িয়ার তেতুলতলা এলাকায় থাকেন। তিনি সাভারের একটি গার্মেন্টে কাজ করেন। আর নাসিমার বাবা জাহাঙ্গীর আলম মোহাম্মদপুরের একটি বাসার দারোয়ান।

তিনি জানান, বেশ কয়েক মাস ধরে নাসিমা ধানমন্ডির ওই বাসায় কাজ করতেন। সাত মাস আগে তিনি কাজ ছেড়ে দেন। পরে তার বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তার ডিভোর্স হয়ে যায়। গত তিন মাস ধরে আবারও ওই বাসায় তিনি কাজ করতেন। নাসিমা সেখানেই থাকতেন। শনিবার পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি নাসিমা ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি। এসে নাসিমার মরদেহ দেখতে পাই।

নাজমা বলেন, পুলিশের কাছ থেকে জেনেছি আমার মেয়ে ওই বাসার ছয়তলার বারান্দা দিয়ে লাফ দিয়েছে। কিন্তু আমার মেয়ে কেন লাফ দিবো। তবে কীভাবে আমার মেয়ে মারা গেছে তা জানি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
এজেডএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।