সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) এলাকায় বাসাবাড়ি-দোকানপাট, আঙিনা কিংবা কারো স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তাদের জরিমানা করা হবে। এ লক্ষ্যে সিসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করবেন।
সোমবার (২৩ জুলাই) বিকেলে সিটি করপোরেশনের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বাড়ছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গুবিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নগরের ৪২ ওয়ার্ডে নিয়মিত মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
মেয়র আরিফ বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলদের মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। এডিস মশার লার্ভা অনুসন্ধানে সিসিক মাঠে রয়েছে। বেসরকারি সেবা সংস্থার সহায়তায় লার্ভা অনুসন্ধান পরিচালিত হচ্ছে। যেসব বাসাবাড়ি, ভবনে লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়বিষয়ক এ সভায় সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের নানা কার্যক্রমের বর্ণনা দিয়ে বলেন, যেসব বাসা-বাড়ি, দোকান, ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাবে, সেসব স্থাপনার মালিকদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে একাধিক টিম নিয়ে শিগগিরই অভিযান শুরু করবে সিটি করপোরেশন। এছাড়া মশক নিধনে সিসিকের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড প্রয়োগে মাঠে টিম কাজ করছে।
তিনি বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবারও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের ডেঙ্গু পরীক্ষা করে ১১ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত করা হয়েছে। ফলে অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি ঠেকাতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
এনইউ/আরবি