ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রমিকের সন্তানের শিক্ষা ও মজুরি প্রশ্ন নিয়ে মতবিনিময়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
শ্রমিকের সন্তানের শিক্ষা ও মজুরি প্রশ্ন নিয়ে মতবিনিময়

ঢাকা: বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় পরিবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে ‘শ্রমিকের সন্তানের শিক্ষা ও মজুরি প্রশ্ন’ শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তরে বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ও লেখক ফিরোজ আহমেদ, গামের্ন্ট টিইউসির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড, ছাত্রইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম,  পাবর্ত্য চট্টগ্রাম পাহড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাংগঠনিক সম্পদক শুভাশীষ চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি)-এর সভাপতি তৌফিক উজ-জামান পারিচা এবং পোশাক শ্রমিকের সন্তান ফারিয়া বৃষ্টি।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ৪০ লাখ শ্রমিকের বড় অংশ তরুণ। তাদের অনেকে অল্প বয়সে স্কুল-কলেজ শেষ করার সুযোগ না পেয়ে শ্রমিকে পরিণত হয়। গত ৪ দশকে প্রায় তৃতীয় প্রজন্মের শ্রমিকেরা এখন কারখানায় কাজ করছেন। বর্তমান মজুরিতে শ্রমিকদের পক্ষে নিজের সন্তানকে পাশে রাখার সুযোগ নাই। তাই তারা সন্তানদের গ্রামে কমখরচে জীবন ধারনের জন্য প্রেরণ করছে। একইসাথে শ্রমিকরা তাদের সন্তানদের পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থা করতে পারে না, নিশ্চিত করতে পারে না উন্নত ও প্রকৃত শিক্ষা।

বক্তারা আরেও বলেন, শ্রমিকদের সন্তানদের একটি বড় সংখ্যা খরচ কুলাতে না পারায় তার সন্তানকে সাধারন শিক্ষায় না পাঠিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষঅয় পাঠাচ্ছে। মাদ্রাসা অনেকটা শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রর বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে শ্রমিক এলাকায়। এ অবস্থায় শ্রমিকের সন্তানের শিক্ষা অনিশ্চিত হয়েছে তেমনি শিশুরা অপুষ্টি ও রোগে শোকে ভুগছে।

বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষা সকল শিশুর অধিকার হলেও রাষ্ট্র সেই অধিকার বঞ্চিত করেছে শ্রমিকদের। ৮০০০ টাকা বেতন শ্রমিকের সন্তানদের বড় অংশ ছিটকে পড়ছে বাবা-মার সান্নিধ্য ও শিক্ষার সুযোগ থেকে।

তারা বলেন, পোশাকশ্রমিকরা তার সন্তানদের থেকে দূরে থাকার মতো নিষ্ঠুর পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করে। পোশাক শ্র্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি হলে তাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং তারা তাদের সন্তান আগামী প্রজন্মকে শিক্ষার সুযোগ প্রশস্ত হবে।

রপ্তানির শীর্ষখাত পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতে মজুরি ২৫ হাজার টাকা মজুরি বৃদ্ধি জরুরি বলে মত প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, মজুরি আন্দোলন কেবল শ্রমিকের আন্দোলন না, এই আন্দোলন ছাত্রদেরও আন্দোলন। কারণ বাংলাদেশের সকল শিশুর শিক্ষা নিশ্চিতের প্রশ্ন জড়িয়ে আছে মজুরি বৃদ্ধি এবং সরকারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাসহ অন্যান্য উদ্যোগের ওপর।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
পিআর/এমজেএফ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।