ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জনগণকে জোর করে আন্দোলনে আনলে আমাদের আপত্তি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
জনগণকে জোর করে আন্দোলনে আনলে আমাদের আপত্তি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

ঢাকা: বিএনপির ২৭ তারিখের কর্মসূচি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমাদের সিদ্ধান্ত কী হবে? দেখুন, হঠাৎ করেই তারা এমন-এমন প্রোগ্রাম দিচ্ছে, যেগুলোতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তারা বলছে যে, তারা আন্দোলন শুরু করেছে।

 আমরা সেখানে কোনো বাধা দিচ্ছি না।  

তিনি বলেন, যদি জনগণ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আসে, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু জনগণকে জোর করে আনলে আমাদের আপত্তি। আমাদের আপত্তি সেখানেই, যদি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে, রাস্তাঘাট বন্ধ করে তারা যদি কিছু করে কিংবা জান-মালের ক্ষতি করে অথবা জীবননাশ হয়। আমরা তখনই বাধা দেব।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলে সরকারের কোনো বাধা নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) দেখেছেন, তারা পদযাত্রা করেছে, মানববন্ধন করেছে, যা করেছে আমরা কিন্তু কোনটিতেই বাধা দিইনি। তারা করেছে সুন্দরভাবে এবং ভবিষ্যতেও যদি তারা করতে চায়, করবে। সেখানেও আমাদের বাধা থাকবে না। কিন্তু যখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে, জানমাল ধ্বংস করতে চাইবে, প্রোপার্টিজ ধ্বংস করবে, আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এটিই তাদের বলে দেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, তারা পদযাত্রার পরে অতি সম্প্রতি একটা লংমার্চ করল, তারুণ্যের একটি সমাবেশও করল। এখন তারা একটা বড় সমাবেশ করার জন্য আমাদের পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছে। পুলিশ কমিশনার এখনো তার মতামত জানাননি। বোধ হয় শিগগিরই মতামত জানিয়ে দেবেন।

দুর্ভোগের কথা যেহেতু বলছেন, পাল্টাপাল্টি সমাবেশ হচ্ছে, আপনারা যখন পাল্টা সমাবেশ করেন জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, সেটা আপনারাই দেখছেন। যখন রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে কর্মসূচি দেয়, শুধু ইসেরটা (আওয়ামী লীগের) দেখছেন কেন? আরও অন্যান্য পার্টিও তো দিচ্ছে। সেগুলো আপনাদের নজরে নিশ্চয়ই পড়েছে। সংখ্যায় গুনলে হয়তো ২০ জন নিয়ে রাস্তায় নামতে পারেন না, তিনিও কর্মসূচি দেওয়া শুরু করেছেন। সেগুলো আপনারা দেখেছেন। কাজেই সবাই কর্মসূচি দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমরা এটুকুই বলবো, যতক্ষণ পর্যন্ত জনদুর্ভোগ মানে জান-মালের ক্ষতি না করবে, গাড়ি ভাঙচুর না করবে, ততক্ষণ আমরা তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছি না। এখন যে দলই হোক, তারা তাদের কর্মসূচি পালন করবে। যদি ভাঙচুর কিংবা জানমালের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এগুলো নিয়ে কাজ করবে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।