ময়মনসিংহ: গত দুই মাস আগে ময়মনসিংহ খাদ্য বিভাগের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় চলেছিল নারী কেলেঙ্কারির এক ঘটনা।
অভিযোগের অভাবে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার না হয়ে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।
সেই নিরাপত্তা কর্মীর নাম লিটন ভৌমিক। গত ২০ জুন ধোবাউড়া খাদ্য গুদামে বদলি করা হয়েছে তাকে। মূলত তিনি ও তা স্ত্রী ছিলেন ওই কেলেঙ্কারি ঘটনার প্রতিবাদকারী।
যে কারণে বিষয়টি নিয়ে ফের নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
তবে স্বাভাবিক নিয়মেই নিরাপত্তাকর্মী লিটন ভৌমিকের বদলি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, স্বাভাবিক নিয়মেই ওই নিরাপত্তাকর্মীর বদলি হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোনো ঘটনা আছে কি-না আমার জানা নেই। তবে প্রায় দুই মাস আগে ফুলপুর খাদ্য গুদামে কোনো একটা সমস্যা হয়েছিল বলে শুনেছিলাম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কেউ আমাকে বিষয়টি জানায়নি। তাছাড়াও এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগও আমি পাইনি।
যদিও বদলি হওয়া নিরাপত্তাকর্মী লিটন ও তার স্ত্রী সুরভীর দাবি, ওই কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রতিবাদ করায় এ বদলি করা হয়েছে।
লিটন ভৌমিক বলেন, কেন আমাকে বদলি করা হয়েছে, তা জানা নেই। তবে রানা স্যারের ওই কেলেঙ্কারির ঘটনায় আমার স্ত্রী প্রতিবাদ করেছিল, এটাই আমার একমাত্র দোষ।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সুরভী বলেন, বিচার দেওয়ায় আমরা দোষী হয়েছি। আমার স্বামীকে বদলি করা হয়েছে, একদিন ভগবান বিচার করবেন।
উপজেলা খাদ্য গুদাম সূংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২৮ মে ফুলপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল রানার সঙ্গে অফিসের এক খণ্ডকালীন নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কেলেঙ্কারি ঘটনা ধরা পড়ে। এনিয়ে অফিসের নিরাপত্তাকর্মী লিটন ভৌমিকের স্ত্রী সুরভী বিচার দাবি করলে ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসনে গড়ায়। পরে দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি শান্ত করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম. সাজ্জাদুল হাসান।
গুঞ্জন, তবে বিষয়টি গত দুই মাস ধামাচাপায় থাকলেও ওই ঘটনার জের ধরে গত ২০ জুন হঠাৎ নিরাপত্তাকর্মী লিটন ভৌমিককে বদলি করা হয়েছে। এতে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনাটি ফের চাউর হয়ে উঠেছে খাদ্য বিভাগের ভেতরে-বাইরে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম. সাজ্জাদুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি কয়েক মাস আগের, সঠিক মনে নেই। তবে বিষয়টি শুনে দুই পক্ষকে নিয়ে আমি আলোচনায় বসে ছিলাম। এতে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি, ওসিসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তখন সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকায় ঘটনাটি সামাধান হয়ে যায়। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে।
জানতে চাইলে ওই নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, এটা (কেলেঙ্কারি) অতীত হয়ে গেছে। এখন বলার মতো কিছু নেই, সাধারণ বিষয়।
একই ধরনের মন্তব্য করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল রানা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনা কিছুই না, নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হওয়ার কারণে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। এটা কিছুই না। আপনার (প্রতিবেদক) সঙ্গে পরে দেখা করে কথা বলব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
এসএএইচ