ঢাকা: সনদ জালিয়াতি ও নানা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) উচ্চমান সহকারী দেলোয়ার হোসেন। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) তার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর দেলোয়ার অবশ্য দাবি করেছেন, তার কোনো সম্পত্তিই নাকি নেই। এসব সত্যি নয়। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও নেই।
দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ফাইল আটকে রাখা, ফাইল গায়েব করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়ম করে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এবং বিদেশে বাড়ি করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি যেন বিদেশে যেতে না পারেন সে বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ইমিগ্রেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দেওয়া হবে।
এর আগে মন্ত্রণালয়ে শুনানি শেষে তদন্তে প্রমাণ মেলায় জাগৃক উচ্চমান সহকারী দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে দেলোয়ারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার কোনো সম্পত্তিই নাই৷ আমি ছোট একটা চাকরি করি। সম্পদের পাহাড়ের যে অভিযোগ রয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
টাকার পাহাড় গড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা গ্রেপ্তার দেলোয়ারকে প্রশ্ন করেন। তিনি দাবি করেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার নামে কেউ কোনো ডকুমেন্টস বা অভিযোগ দিয়েছে? দেয়নি।
তাহলে কেন গ্রেপ্তার হলেন? প্রশ্নের উত্তরে এ উচ্চমান সহকারী বলেন, সচিব স্যারকে জিজ্ঞেস করেন। আমার কিচ্ছু নাই। সবই ভিত্তিহীন, সবই মিথ্যা। সকল কিছু মিথ্যা। কোনো লিখিত অভিযোগ কি আছে আমার বিরুদ্ধে? আমি এরকম কোনো কিছু করিনি।
সনদ জালিয়াতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে দেলোয়ারকে তার বাবার নাম জিজ্ঞেস করা হয়। সনদে তার বাবার নাম শিশু মিয়া আছে কিনা সে প্রশ্নও করা হয়। উত্তরে দেলোয়ার বলেন, বাবার নাম আব্দুল ওয়াহিদ। সার্টিফিকেটে আব্দুল ওয়াহিদই আছে। কারও নামে যদি ভুল হয়, সেটা সংশোধনের সিস্টেম আছে। এটা আমি করছি? এটা বোর্ড সংশোধন করে দিয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান যে আমার সার্টিফিকেটে লিখে দিয়েছে সেই কপি কি আপনাদের কাছে আছে? কতো মানুষ তো কতো কথা বলে। আমি কোনো কথা বলতে চাই না।
আপনি গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের গডফাদার ছিলেন, সচিবের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ছোট একটা চাকরি করি। এই চাকরিতে কেউ গডফাদার হয়?
দেলোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, তার বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ ছিল। সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে শুনানি করা হয়। তদন্তে প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তারপর তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৩
জিসিজি/এমজে