ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

একদিনের ব্যবধানে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে দ্বিগুণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৩
একদিনের ব্যবধানে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে দ্বিগুণ

চাঁদপুর: সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর চলতি মৌসুমে এই প্রথম ইলিশের আমদানি বেড়েছে। দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর মাছঘাটে একদিনের ব্যবধানে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে দ্বিগুণ।

বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমদানি হয়েছে প্রায় ৩০০ মণ। গতকাল বুধবার (০২ আগস্ট) ঘাটের আড়তগুলোতে ইলিশ আমদানি হয়েছিল ১৫০ মণ। আর আজকে দামও তুলনামূলক কিছুটা কমেছে।

সকাল সাড়ে ১০টায় মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশ বেচাকেনায় সরগরম হয়ে উঠেছে আড়ৎগুলো। পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা ক্রেতা ও শ্রমিকরা সেখানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দক্ষিণাঞ্চলের নোয়াখালি, হাতিয়া ও ভোলা অঞ্চল থেকে ট্রলার ও সড়ক পথে ট্রাকে করে ইলিশ আসছে ঘাটে।

বেশ কিছু সময় ঘাটে অবস্থান করে দেখা গেছে, মাছঘাট সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদী দিয়ে আসা ট্রলারগুলো থেকে শ্রমিকরা আড়তে ইলিশ এনে স্তূপ করছে। এরপর হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। আবার কিছু ইলিশ রপ্তানি করার জন্য বাক্স ভর্তি করছেন শ্রমিকরা। আবার খুচরা কেনার জন্য স্থানীয় ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন।

মেসার্স কালু ভুইয়া মৎস্য আড়তের ম্যানেজার মো. ফারুক জানান, আজকের বাজারে ২৫০ গ্রামের অর্থাৎ ৪টায় কেজি ইলিশ প্রতি মণ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ হাজার টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ হাজার টাকা। ১ কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪৮-৫০ হাজার টাকা। আর দেড় কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। তবে আড়তে বড় সাইজের ইলিশের সংখ্যা কম।

তিনি আরও জানান, গত এক সপ্তাহে ইলিশের আমদানি কম ছিল। তবে সাগরে নিম্নচাপ থাকার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের জেলেরা মাছ আহরণ থেকে বিরত থেকেছেন। এর ফলে মঙ্গলবার ও বুধবার আহরণকৃত এসব ইলিশ আজকে মাছঘাটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

চাঁদপুর মৎস্য ও বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সবে বরাত সরকার জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টি হওয়ার কারণে জেলেরা আগের চাইতে ইলিশ কিছুটা বেশি পাচ্ছেন। বুধবার ঘাটে ইলিশ আমদানি হয়েছে ১৫০ মণ। আজকে আমদানি হয়েছে প্রায় ৩০০ মণ। স্থানীয় পদ্মা-মেঘনার ইলিশ গতকাল আমদানি হয়েছে ১৫ মণ। আজকে আমদানি হয়েছে প্রায় ৩০ মণ। আশা করছি নদীতে পানি ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ইলিশের আমদানি আরও বাড়বে।

চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গত ১০ দিন আগেও ইলিশের সরবরাহ খুবই কম ছিল। দামও ছিল চড়া। গত দুইদিন ইলিশের আমদানি বাড়ার পাশাপাশি দামও কমেছে। আমরা মাছঘাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। বৃষ্টি ও নদীতে পানির স্রোত বৃদ্ধি হওয়ার কারণে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।