ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বোয়ালমারীতে নির্মাণশ্রমিকের চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
বোয়ালমারীতে নির্মাণশ্রমিকের চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর মিজান শেখ (২৫) নামে এক নির্মাণশ্রমিকের চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রূপাপাত বামনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে নিমাই কুলুর মেহগনি বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে বুধবার (২ আগস্ট) থেকে নিখোঁজ ছিলেন মিজান শেখ। তিনি উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের রূপাপাত গ্রামের আহমেদ শেখের ছেলে। পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন।  

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের রূপাপাত গ্রামের আহমেদ শেখর ছেলে মিজান শেখ বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরে পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও কোথাও তার সন্ধান পায়নি।

তিনি ব্যক্তি জীবনে দুই বিয়ে করেছিলেন। তবে তার কোনো সন্তান ছিল না। দুই স্ত্রীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রুপাপাত বামনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে নিমাই কুলুর বাগানে মিজানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।  

খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানার ডহরনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ আজাদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিজানের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান চোখ উপড়ানো বলে জানায় পুলিশ।

রূপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কলেজ শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, বুধবার থেকে মিজানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার রাতে নিমাই কুলুর বাগানে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।  

তিনি আরও জানান, তারা দুই ভাই-বোন। বিয়ে করলেও মিজানের পারিবারিক জীবনে স্ত্রী বা কোনো সন্তান নেই।

বোয়ালমারী থানার ডহরনগর তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক কবির আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে এনেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান চোখ উপড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। ফাঁড়ি থেকে থানায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ নিহত মিজানের বাড়িতে গিয়েছিল। তার স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পেরেছে বুধবার বিকেল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তবে নিখোঁজের ব্যাপারে কেউ থানায় লিখিত বা মৌখিকভাবে কিছু জানায়নি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৩
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।