ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সাবরেজিস্ট্রারের অভাবে জনদুর্ভোগ

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
সাবরেজিস্ট্রারের অভাবে জনদুর্ভোগ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় প্রায় পাঁচ মাস ধরে নেই সাব-রেজিস্ট্রার। সপ্তাহে দুইদিন পার্শ্ববর্তী জুড়ি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

কিন্তু ফুলটাইম সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় জমি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সংশোধিত নিয়মকানুন ও পরামর্শ নিতে এবং সার্টিফাই কপি উত্তোলনে ভূমি ক্রেতা-বিক্রেতা ও দলিল লেখকরা মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

ভূমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশ প্রবাসী হওয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্বের সাব রেজিস্ট্রারের কর্মদিবসের সঙ্গে তাদের যাত্রার তারিখ না মেলায় তারা দলিল রেজিস্ট্রি না করেই প্রবাসে চলে যান। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও ব্যাহত হচ্ছে।

জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার সাইফুল আলমের বদলিজনিত কারণে গত ২২ মার্চ থেকে সাব-রেজিস্ট্রার শূন্য হয়ে পড়ে অত্র অফিসটি। এরপর জেলা রেজিস্ট্রারের নির্দেশে পার্শ্ববর্তী জুড়ি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সপ্তাহে দুইদিন (রোববার ও সোমবার) এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু প্রবাসী অধ্যুষিত বড়লেখা উপজেলার বেশিরভাগ ভূমি ক্রেতা-বিক্রেতা খুব কম সময় নিয়ে দেশে আসেন। জমি রেজিস্ট্রারের সংশোধিত নিয়মকানুন জানতে গিয়েও তারা হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হন। ফুলটাইম সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় দলিল লেখকরাও তাদের সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন না। এতে অনেকেই ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হয়ে জমি ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় করার সিদ্ধান্তই পাল্টে প্রবাসে চলে যান। যার ফলে রাজস্ব ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বড়লেখা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস।

জেলা দলিল লেখক সমিতির (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি ও উপজেলা সভাপতি মীর মখলিছুর রহমান জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভূমি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত নানা বিষয় জানতে দলিল লেখকদের কাছে ছুটে আসেন। পৌরসভা এলাকার ভূমির ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার টিআইএন ও ভ্যাট সার্টিফিকেটসহ নতুন নিয়মকানুন সাব রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে জেনে সংশ্লিষ্টদের জানাতে হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় তারা ভুক্তভোগীদের সঠিক কোনো পরামর্শ দিতে পারেন না। এতে অনেকেই বিরক্ত হয়ে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সিদ্ধান্তই বদলে ফেলেন। যার প্রভাব পড়ছে সরকারের রাজস্ব আয়ে।

সম্প্রতি ১১ জুলাই সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি বড়লেখা সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও দলিল লেখক শেড পরিদর্শন করেন। দাবির প্রেক্ষিতে তিনি দ্রুত একজন স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার পদায়নের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

জেলা রেজিস্ট্রার এসএম সুহেল রানা মিলন জানান, জেলার দুটি উপজেলায় (বড়লেখা ও কুলাউড়া) দীর্ঘদিন ধরে সাব-রেজিস্ট্রার নেই। পার্শ্ববর্তী উপজেলার সাবরেজিস্ট্রারকে সপ্তাহে ২-৩ দিন পাঠিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে উভয় উপজেলার কাজকর্ম ব্যাহত হওয়াই স্বাভাবিক। তবে দ্রুত স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার পদায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় ও আই.জি.আর (ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রেশন) কার্যালয়কে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৩ 
বিবিবি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।