চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে তিনটি ব্লাকহেডসহ ছয়জনকে আটক করেছে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দিনগত রাতে উপজেলার মেঘনা নদীর মোহনপুর সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে নৌ-পুলিশ চাঁদপুর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. মুনিরুজ্জামনসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জব্দকৃত বাল্কহেড গুলো হলো- দিনের আলো-১, দিনের আলো-২ ও তমাল নেভিগেশন।
আটকরা হলেন- সাইদুল ইসলাম (৪০), মো. ঝন্টু মিয়া (৩৯), সুমন (৪০), মো. সুলতান (৭০), মো. ফিরোজ মিয়া (৪৭), সুমন (৪৯)।
দিনের আলো- ২ এর মাস্টার মো. সুলতান মিয়া জানান, ফরিদপুর থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালুভর্তি করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের কাজ হচ্ছে বহন করা। তার মতে প্রতিরাতে বালুবাহী শতাধিক বাল্কহেড ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে বাল্কহেডের কাগজপত্র ঠিক আছে।
নৌ পুলিশ জানায়, মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর সীমানায় অসংখ্য বাল্কহেডের কারণে লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে চলাচল করার সময় এ ধরনের সমস্যায় বেশি পড়তে হচ্ছে। দেখা যায় নদীর মধ্যে যত্রতত্র বাল্কহেড নোঙর করে রাখায় রাতে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রাতের অন্ধকারে বাল্কহেড চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা বাল্কহেডের বেশিরভাগ অংশই পানিতে ডুবে থাকে। এছাড়া লাইটিংয়ের তেমন ব্যবস্থা নেই। এতে করে দ্রুতগামী নৌযানের সঙ্গে যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষ ঘটতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিয়মিত নদীতে এমন অভিযান চালাচ্ছি। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হবে। বাল্কহেড নৌ পুলিশ হেফাজতে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৩
এসএম