ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

কমতে শুরু করলেও বিপৎসীমার ওপরে নদ-নদীর পানি 

উপজেলা ও ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৩
কমতে শুরু করলেও বিপৎসীমার ওপরে নদ-নদীর পানি 

বরগুনা: বরগুনায় বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে বরগুনার খাকদোন নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ও বিষখালী নদীর পাথরঘাটা অংশে ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার ছিল খাকদোন নদীতে ৩৩ সেন্টিমিটার এবং বিষখালী নদীতে ৫২ সেন্টিমিটার। এদিকে ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) খাকদোন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার, বেতাগীর বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৩১ সেন্টিমিটার, বরগুনার আমতলীর বুড়েশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১৭ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৪৩ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৫৭ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত থেকে বরগুনার প্রধান নদ-নদীর পানি প্রবাহ হঠাৎ বাড়তে থাকে। পরদিন সকালে সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে বিষখালী চরাঞ্চল ও তীরের নিম্নাঞ্চল প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ডুবে যায় কৃষকের ফসল। পানিতে তালিয়ে সবজি ক্ষেত, মৎস্য চাষিদের স্বপ্ন ভেসে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। সকাল থেকে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেলে পুনরায় কমতে শুরু করে।

তবে এখনো জেলার অনেকগুলো নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে থাকায় বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও বরগুনা জেলার তিনটি ফেরিঘাট, বেশ কয়েকটি চরাঞ্চল, নিচু বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী, আঙ্গুলকাটা, জেলেপাড়া, বালিয়াতলী, ঘোপখালী, পশুরবুনিয়া, গাজীপুর, কলাগাছিয়া গ্রামে বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরতদের বাসা বাড়িতে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও মাছের ঘের। বিশেষ করে বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত পরিবারগুলোকে ওই সময় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

সদর উপজেলার মাঝের চর এলাকার কৃষক আলমগীর মিয়া বলেন, আমন বীজতলা থেকে পানি নেমে গেছে। রাস্তা-ঘাট থেকে পানি নেমে গেছে কিন্তু কাদা হওয়ায় চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

একই এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষার্থী রিমন হাওলাদার বলেন, আমরা চর অঞ্চলের মানুষ সব সময় বিপদের মুখে থাকি। জোয়ারের পানি স্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মজবুত বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে সব সময় আমাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। তাছাড়া এবার নদীর পানি ঢুকে পড়ার কারণে বাড়ির ভেতরে ও বাইরে কাদা। এজন্য চলাচল করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. মাহাতাব হোসেন ও পাথরঘাটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাইরুল ইসলাম বলেন, বরগুনার প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আশা করি পরিস্থিতিও অনেকটাই উন্নতি ঘটবে। তবে পানি প্রবাহ কয়েকদিন এমন থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।