ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সেতু নির্মাণ শেষ, ২ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২৩
সেতু নির্মাণ শেষ, ২ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক

বরগুনা: বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সোমবাড়িরা বাজার সংলগ্ন চরকগাছিয়া খালে সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। এখনো হয়নি দু’পাশের সংযোগ সড়ক।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী নিজেদের অর্থায়নে সংযোগ সড়কের মাটি ফেলে তার উপর সিমেন্টের ব্লক দিয়ে চলাচলের উপযোগী করছেন।  

উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সোমবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন চরকগাছিয়া খালে ১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি গার্ডার সেতু নির্মাণের দরপত্র আহবান করে। ওই সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায় বরিশালের আমির কন্সট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

২০২১ সালে মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সেতু নির্মাণের দুই বছর পরেও ঠিকাদার আমির হোসেন সংযোগ (অ্যাপ্রোচ) সড়কটি নির্মাণ করেনি। ভূক্তভোগী এলাকাবাসীরা বর্ষায় চলাচলের জন্য নিজেদের অর্থায়নে সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি দিয়ে তার উপর ব্লক ফেলে চলাচল করছেন। দীর্ঘদিন একই অবস্থায় আছে সেতুটি।  

আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাঃ সোহেলী পারভীন মালা বলেন, ঠিকাদার আমির হোসেনকে একাধিকবার বলা সত্তেও তিনি সংযোগ সড়কটি নির্মাণ ও পাকাকরণের কাজ করছেন না। এতে অন্তত ওই এলাকার ১০ হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে।

ঠিকাদার আমির হোসেন সেতুর এ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ না করার কথা স্বীকার করে বলেন, ওই এ্যাপ্রোচ সড়কের ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় নির্ধারিত সময় কাজ করতে পারিনি। কিছুদিন পূর্বে সংযোগের ডিজাইন অনুমোদন হয়েছে। এছাড়া প্রযেক্ট পরিচালকের সেতু পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। তিনি পরিদর্শন করে গেলেই সংযোগ নির্মাণ ও পাকাকরণের কাজ শুরু করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, ওই ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও পাকাকরণের কাজ করতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। দ্রুত কাজ না করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই ব্রীজের কাজ বাতিলের প্রস্তাব বরগুনা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ওই ঠিকাদারকে কাজের কোন টাকা ছাড় দেয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২৩
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।