ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাতের বৃষ্টিতেই মাদারীপুর পৌরশহরে জলাবদ্ধতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৩
রাতের বৃষ্টিতেই মাদারীপুর পৌরশহরে জলাবদ্ধতা

মাদারীপুর: মাদারীপুরে এক রাতের টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে সড়ক, অনেকের ঘরে ঢুকেছে বৃষ্টির পানি।

এতে করে জনজীবনে সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভোগ।  

সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন অলিগলি, সড়কগুলোতে পানি। কোথাও কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি। পানি বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে শহরবাসী জানান।

জানা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে নতুন শহর, উকিলপাড়া, জেলা পরিষদ রোড, সুমন হোটেল এলাকা, মিলন সিনেমা হল রোড, ২ নম্বর শকুনি, ১ নম্বর শকুনি, কলেজরোড, গোলাবাড়ি, থানতলী, পানিছত্র, ডা. অখিল বন্ধু সড়ক, শহীদ মানিক সড়ক, মন্টু ভুঁইয়া সড়ক, শহীদ বাচ্চু সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এমনকি বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকেছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানি বের হতে না পারা কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর।

মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার মো. রফিক বলেন, একদিনের বৃষ্টিতেই ঘরের সিঁড়ি পর্যন্ত পানি এসেছে। আজ যদি বৃষ্টি না থামে তাহলে ঘরের মধ্যেই পানি ঢুকে যাবে। পৌরসভার নাগরিক হয়েও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।

আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ঘরের সিঁড়ি পানিতে ডুবে গেছে, বৃষ্টি না থামলে সে কোনো সময় ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে যাবে। আসলে পানি বের হওয়ার কোনো পথ নেই। তাই বৃষ্টির পানি জমে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

মাদারীপুরের সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ইয়াকুব খান শিশির বলেন, বৃষ্টি হলেই পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলে ভোগান্তিসহ সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। অনেক এলাকায় বাড়িঘরেও পানি উঠে যায়। চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে শহরবাসীকে।

মাদারীপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু ইলিয়াস খোন্দকার ফিরোজ বলেন, পানি বের হওয়ার জন্য তেমন কোনো নির্দিষ্ট পথ না থাকায় ড্রেনের মধ্যেই পানি ঘুরপাক খায়। তাছাড়া অনেকেই গোপনে ড্রেনের মধ্যে পয়ঃনিস্কাসনের লাইন দিয়েছে, এতে করে পরিষ্কার করতে সমস্যায় পড়তে হয়। তবুও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যেই আমাদের লোকজন বিভিন্ন সড়কে নেমে গেছে।  

তিনি আরও বলেন, যে সব ড্রেনের মুখ বন্ধ বা ময়লা পরে আটকে আছে, সেগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। কোথাও বালুর বস্তা ফেলাও হচ্ছে। আশা করছি বৃষ্টি না হলে আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যেই শহরের পানি নেমে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।