খুলনা: ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ সময় সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ও কাঁকড়া ধরার পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
সোমবার (৭ আগস্ট) সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাসের মোহসিন হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, নিষিদ্ধ সময়ে সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জে অনুপ্রবেশের দায়ে ২৭টি পিওআর মামলা, ৩৪টি ইউডিওআর মামলা ও ১টি সিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় ২৩ জন আসামিকে আটক করা হয়। এছাড়া একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, ৬৩টি নৌকা, ৪টি মোটরসাইকেল, ১৬ কেজি হরিণের মাংস, ৬৩৯ কেজি চিংড়ি/সাদা মাছ, ৩৫ কেজি শুঁটকি, ১৯০ কেজি চিংড়ি, কাঁকড়া, ৬০০টি হরিণ ধরা ফাঁদ ও ১৪টি বিষের বোতল জব্দ করা হয়।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে গত ২ মাসে ৮টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, ১৩০টি নৌকা ও অবৈধ কাঁকড়া পরিবহনকালে একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ১০১ জনকে আটক করা হয়েছে। ৭টি পিওআর মামলা, ৩১টি ইউডিওআর মামলা ও ১৬টি সিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসবের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে অবৈধ ভেসালি জাল, নিষিদ্ধ কীটনাশক, হরিণের মাংস, হরিণ ধরার ফাঁদ, শুঁটকি, চিংড়িসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। বিভাগীয় পর্যায়ে মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে ২৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের (ডিএফও) ড. আবু নাসের মহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ সময়ে বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির সদস্যরা প্রতিনিয়ত টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ সময় বন বিভাগের সদস্যরা অসংখ্য নৌকাসহ অবৈধভাবে প্রবেশ করা জেলেদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৩
এমআরএম/আরবি