ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গমাতা রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন: শেখ কবির

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৩
বঙ্গমাতা রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন: শেখ কবির

ঢাকা: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন বলে বলেছেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন।

মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

শেখ কবির হোসেন বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন তখন আন্দোলন ও দলকে বঙ্গমাতাই পরিচালনা করতেন। দলের কর্মী ও নেতাদের তিনি সব সময় আগলে রেখেছেন। দলের নেতা কর্মীদের তিনি নিজ হাতে রান্না করে খাবার খাওয়াতেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের নারী সমাজ বঙ্গমাতার জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করলে এই দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। বঙ্গমাতার আদর্শ ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঘনিষ্ঠ এই সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার মাতার সন্তান বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। একইসঙ্গে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে তাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়ও রাখতে হবে।  

সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, উদার, সাহসী, পরিশ্রমী, দৃঢ়চেতা মনের মানুষ ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি এতটা সাহসী ছিলেন যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও নিজের জীবনের জন্য মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি।  

উপাচার্য তার বক্তব্যে পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গমাতার জীবনীকে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানান। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতাসহ তার পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে সেই খুনিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার আহ্বান জানান।

ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, রাজনৈতিক জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন দূরদর্শী রাজনীতির অমর বিজ্ঞানী। বঙ্গমাতার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। বঙ্গমাতা যেমন বঙ্গবন্ধুর জীবনের সব ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন, একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন।  

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান,  প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তাফা জামান, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ্, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ডা. ইন্দ্রিজিৎ কুমার কুণ্ডু, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।