ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অনেক বছর পরও জানা যাবে কবরের তথ্য: মেয়র আতিকুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
অনেক বছর পরও জানা যাবে কবরের তথ্য: মেয়র আতিকুল স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশে থাকবে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা। আজকের ডাটা যদি থাকে, তাহলে অনেক বছর পরও তথ্য জানা যাবে।

কবরস্থানের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা থাকবে হাতের মুঠোয়।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবন অডিটোরিয়ামে ডিএনসিসির স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

আতিকুল ইসলাম বলেন, কবরস্থানে কত কবর আছে, কোথায় কবরের লোকেশন ছিল, একটা জেনারেশন পর আর কেউ কিন্তু এই তথ্য জানে না। তবে আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি, এখন ডিজিটাল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে স্বজনরা অনেক বছরও এই তথ্য জানতে পারবেন। কবর কোথায় ছিল, এ নিয়ে কেউ দিশেহারা আর হবে না।  

তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। চ্যালেঞ্জ নিয়েও আমরা ম্যাপিং কাজ শুরু করেছি। পরবর্তী সময়ে কবরস্থানে বড় বড় স্ক্রিন থাকবে, আমরা সেখানে দেখতে পাব কবরের তথ্য। এগুলোকে টোটাল ম্যানেজমেন্টের মধ্যে আনতে, হাতের মুঠোয় আনতে আমরা কাজ করছি।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের ঢাকা উত্তরের ছয়টি কবরস্থান ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আমরা এর মাধ্যমে এমন সেবা দিতে চাই, যেন নগরবাসীর পাশাপাশি বিদেশেও যারা আছেন, তারাও যেন তাদের স্বজনদের কবরের সার্বিক তথ্য হাতের মুঠোয় পান। পাশাপাশি কবর কোথায় দেবেন, কোথায় ফাঁকা আছে, এসবের সার্বিক তথ্যও পাওয়া যাবে।

মেয়র বলেন, কবরস্থানে নির্দিষ্ট মেয়াদে কবর সংরক্ষণের খরচ আমরা বাড়িয়েছি, এর কারণ এমনিতেই কবরের জায়গার সঙ্কট। তাই কবর সংরক্ষণকে নিরুৎসাহিত করার জন্য আমরা সংরক্ষণ খরচ বাড়িয়েছি। বনানী কবরস্থানেও যদি কেউ কবর দিতে আসেন, আর সেটা যদি পার্মানেন্ট বা সংরক্ষণ না করা হয়, তাহলে সেই কবর দেওয়ার খরচ আমরা রেখেছি মাত্র ৫০০ টাকা। তবে কবর সংরক্ষণে করতে চাইলে সেটা অনেক খরচ পড়বে।

তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স আমরা আর ক্যাশে নিচ্ছি না। সব এখন হবে অনলাইনে। এ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে দেওয়ার সার্বিক কার্যক্রম শিগগিরই আমরা উদ্বোধন করবো। সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার সমাধান করছি। সবাইকে আমরা জবাবদিহির মধ্যে আনতে কাজ করে যাচ্ছি।

একটি অ্যাপের মাধ্যমে কবরস্থান ব্যবস্থাপনাকে নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে কবরস্থানে যাদের দাফন করা হবে, তাদের তথ্য থাকবে, পাশাপাশি এর মাধ্যমে দাফন সনদ সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া বহু পুরাতন কবরের অবস্থান কোথায় ছিল, কার নামে কোন জায়গায় ঠিক কবর দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে কবর দেওয়ার জন্য কোথায় ফাঁকা জায়গা আছে, কোন পুরোনো কবরের ওপর নতুন কবর বসবে কবরস্থান সংক্রান্ত এমন যাবতীয় তথ্য ডিএনসিসির অ্যাপের পাওয়া যাবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব কবরস্থানই পর্যায়ক্রমে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের আওতায় আনা হবে।  

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও আইসিডিডিআর,বির সিনিয়র ডিরেক্টর এল আরেফিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩

এমএমআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।