ভোলা: উপকূলীয় জেলা ভোলায় সংক্রমণ বাড়ছে ডেঙ্গু রোগের। আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
হঠাৎ করেই বাড়তে থাকা ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ে চরম আতংকে ভোলার রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা তাদের সেবা দিতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পাচ্ছেন।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ২৫০ শয্যার ভোলা জেনারেল হাসপাতালে এমন চিত্র দেখা গেছে। ডেঙ্গু সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের সময় নারী মেডিসিন ওয়ার্ডে ১৯ জন ও পুরুষ ওয়ার্ডে ২২ জনকে ভর্তি হতে দেখা যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন।
এ হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নেওয়ার রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরে তারা ভর্তি থাকলেও শয্যার অভাব। তাই বাধ্য হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সরেজমিনে হাসপাতালে ডেঙ্গুর দুটি ইউনিটে বিভিন্ন বয়সী নারী ও পুরুষ রোগীদের যথেষ্ট চাপ লক্ষ্য করা গেছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত শিশুরাও রয়েছে।
রোগীদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন বৈশিষ্ট্যের ডেঙ্গু রোগ একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে- এমন ভয়ে তারা আতঙ্কিত। তা ছাড়া হাসপাতালে শয্যার অভাব হওয়ায় তারা রোগীদের যথেষ্ট চিকিৎসা সেবা দেওয়াতে পারছেন না। এতে চরম ভোগান্তি পোহালেও তাদের দুরবস্থা দেখার মতো কেউ নেই বলেও তারা আক্ষেপ করেন।
তবে হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স জাকিনুর আক্তার বলেছেন, তারা রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দিচ্ছেন। বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমানে রোগীর চাপ অনেক বেশি। সে অনুপাতে তারা কাজ করছেন।
হাসপাতালের একটি সূত্র বলেছে, কীট সংকটের কারণে এক সপ্তাহ ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) থেকে পুনরায় পরীক্ষা চালু হলেও যে পরিমাণ কিট তাদের দেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। হাসপাতালে ১০৪ জন ভর্তি ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫৩ জন ভর্তি হওয়ায় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৭ জনে।
এ ব্যাপারে ভোলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কিট সরবরাহ রয়েছে, ডেঙ্গু পরীক্ষাও চলছে। প্রয়োজনে আরও কিট আনা হবে।
জেলার অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও প্রায় একই অবস্থা। বর্তমান পরিস্থিতি নিরসনে স্থানীয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
এমজে