মাদারীপুর: মাদারীপুরে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় শান্তা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাতে জেলা শহরের মাছবাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শান্তা জেলা সদরের মধ্য পাঁচখোলা এলাকায় ইলিয়াস হাওলাদারের মেয়ে ও নাঈম সরদারের স্ত্রী। এ ঘটনায় স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতদের পরিবার।
জানা গেছে, মাদারীপুর সদরের মধ্য পাঁচখোলা এলাকার শান্তা ও পার্শ্ববর্তী জাজিরা গ্রামের রিপন সরদারের ছেলে নাঈম সরদারের সঙ্গে দীর্ঘ দুই বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে পারিবারিকভাবে চার মাস আগে দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবি করে আসছে নাঈম। কয়েকবার মোটা অঙ্কের টাকাও দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু সে প্রায়ই শান্তাকে মারধর করতেন। এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শান্তার শ্বশুর রিপন সরদারকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে স্বামী নাঈম আরও তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ টাকা দিতে অনীহা করলে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনেরা মিলে শান্তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ ওঠে। শান্তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে পালানোর সময় নাঈমকে আটক করে পুলিশ।
নিহতের নানি মায়া বেগম বলেন, আমরা বিয়ের সময় ছেলেকে দুই লাখ টাকা দিয়েছি। পরে আমার নাতনি জামাতা তার বাবাকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে আরও তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার নাতনিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার করেছে। হত্যারকারীদের বিচার দাবি জানাই।
নিহতের বাবা ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি চাই।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
এসআরএস