ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গাইবান্ধায় ভাঙনে দিশেহারা নদীপারের মানুষ

মোমেনুর রশিদ সাগর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
গাইবান্ধায় ভাঙনে দিশেহারা নদীপারের মানুষ

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় টানা বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদরসহ সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষগুলো।

রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে সাঘাটা উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাটের নয়টি দোকানঘরসহ আশপাশের অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতভিটা ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে হাটের আরও শতাধিক দোকানঘর, অসংখ্য ঘরবাড়ি, মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সিরহাট জামে মসজিদ, মাদরাসা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলায় নদীভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চোখের সামনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে একের পর এক বসতবাড়ি, দোকানপাট ও ফসলিজমি। গেল এক সপ্তাহে উপজেলাটির কচুয়া, ভরতখালী, সাঘাটা, মুক্তিনগর, ঘুড়িদহ, হলদিয়া, জুমারবাড়ী ইউনিয়নের ভিটেমাটি হারিয়েছেন শতাধিক পরিবার। এছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে মসজিদ, মাদরাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজারসহ বহু স্থাপনা।  

এদিকে, ভাঙ্গনে গৃহহারা পরিবারগুলো স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেকে শেষ সম্বল ঘরবাড়ি, গাছপালা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ না করায় প্রতিবছর ভাঙনের শিকার হচ্ছেন তারা। অসময়ে ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে এবার সাঘাটা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা।

সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট জানান, এবারে ভাঙনের তীব্রতা বেশি। ইতোমধ্যে তার ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছেন। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে কয়েকটি গ্রামের শতশত মানুষ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।  তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর পানি বৃদ্ধি ও কমার সঙ্গে আমাদের ভাঙনের শিকার হতে হয়। নদীভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী উদ্যোগ বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, তিনি মুন্সিরহাট ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে নদীর তীর রক্ষার কাজ চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।