ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকেও দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকেও দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন দায়িত্ব পালন অবশ্যই করবে, করে যাচ্ছে। কিন্তু জনগণকেও যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব নিতে হবে।

জনগণকেও নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে। সবাই ক্যাম্পেইনে যোগ দিন।

রোববার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে স্প্রিংডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র স্কুলটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্টুন বই বিতরণ করেন। পরে তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা করেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আমি পুরো ডিএনসিসি এলাকায় যাচ্ছি। আমরা কেউ বসে নেই। সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করছেন। লার্ভা পেলে জরিমানা করা হচ্ছে। কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার ইমাম, শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সভা করছেন।  

তিনি বলেন, বর্তমানে সবাই ফেসবুক ব্যবহার করি। সবাইকে অনুরোধ করছি ফেসবুকে শেয়ার করুন কোথাও পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। তিনদিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন। সবাই মিউচুয়াল ফ্রেন্ডের মধ্যে সচেতনতা বার্তা ছড়িয়ে দিন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার রাখতে হবে। আমরা ছোটবেলায় সপ্তাহে একদিন সবাই মিলে স্কুল-কলেজের আঙিনা পরিষ্কার করতাম। প্রতিটি স্কুল, কলেজ নিজেদের আঙিনার পাশাপাশি আশপাশের এলাকা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিতে পারে।

মেয়র আতিক বলেন, বিদেশে গেলে কিন্তু আমরা নিজের কাজ নিজে করি। দেশেও আমাদের নিজেদের আঙিনা নিজেদের পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে লজ্জার কিছু নেই। সপ্তাহে অন্তত একদিন পুরো বাড়ি পরিষ্কার করলে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারবো। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আর একটিও মৃত্যু যেন না হয় সেজন্য সবাইকে সম্পৃক্ত হতে হবে।

শিক্ষার্থীদের আহ্বান করে তিনি বলেন, মশার কামড় থেকে বাঁচতে তোমরা ফুল হাতা জামা পরবা, মশারির ভেতরে ঘুমাবা। বাবা, মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদি, নানা-নানিসহ আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের জানাবে কোথাও যেন পানি জমে না থাকে। বাসাবাড়ি, বারান্দা, ছাদ সব জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

এ সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনদিনে একদিন জমা পানি ফেলে দেওয়ার ও প্রতি শনিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বাসা-বাড়ি পরিষ্কার করার অঙ্গিকার করেন।

মেয়র আতিক বলেন, আমরা সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইতোমধ্যে বিটিআই প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ সপ্তাহের প্রয়োগকৃত বিটিআইয়ের কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য ইভ্যালুয়েশন টিম মাঠে নামবে। ঠিকমতো সবাই কাজ করছে কি না এটিও মনিটরিং করা হবে।

এ সময় মশককর্মীদের জবাবদিহিতা বাড়াতে বডি ক্যাম লাগানো হবে বলেও জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।  

বক্তব্য শেষে ডিএনসিসি মেয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে তাদের নিয়ে স্কুলের আঙিনা ও স্কুলের প্রধান ফটকের পার্শ্ববর্তী ফুটপাত পরিষ্কার করেন।  

সভায় উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।