ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছিল এদেশের প্রতি গভীর দেশপ্রেম ও বাঙালির প্রতি অসীম ভালোবাসা।
সোমবার (১৪ আগস্ট) রাজধানী ঢাকা ক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘তোমার স্মরণে নমিত পতাকা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি আশরাফুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বিশিষ্ট কবি কামাল চৌধুরী এবং সম্মানিত আলোচক হিসেবে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপসহীন নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু, যিনি ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও নিজ আদর্শে অবিচল থেকেছেন।
‘আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই’ বঙ্গবন্ধুর এ উদ্ধৃতি উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ আহ্বানে সাড়া দিয়েই বাংলার আপামর জনগণ এক হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিন বঙ্গবন্ধু সংবিধান রচনার কাজ হাতে নিয়েছিলেন এবং নয় মাসের মধ্যে বাঙালিকে তাদের নিজস্ব সংবিধান দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, মুজিব মানেই মুক্তি, মুজিব মানেই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বনেতা, বঞ্চিত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতামুক্ত বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যতদিন বাংলা ও বাঙালি থাকবে, ততদিন কোটি বাঙালির হৃদয়ে প্রোথিত থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম।
বঙ্গবন্ধুর স্মরণে এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফুল আলম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠ সৈনিক ও দেশ বরেণ্য শিল্পী রফিকুল আলম কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
এসকে/আরআইএস