ঢাকা, বুধবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় শোক দিবসে বিজিবির কর্মসূচি পালিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
জাতীয় শোক দিবসে বিজিবির কর্মসূচি পালিত

ঢাকা: স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস  উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল দেশব্যাপী দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী বিজিবি সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটসমূহের মসজিদে জোহর নামাজের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শাহাদাতবরণকারী পরিবারবর্গের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এর আগে বিজিবির সকল মসজিদে বাদ ফজর থেক কোরআন খতম করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রিভিলি থেকে রিট্রিট পর্যন্ত বিজিবির সকল স্থাপনায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বিজিবির সকল সদস্য কালো ব্যাজ পরিধান করেন।

শোক দিবস উপলক্ষে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ বিজিবির সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিট পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ এবং ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ রাইফেলসের তৃতীয় রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু’র দেওয়া ভাষণের ভিডিওচিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

পিলখানায় আয়োজিত আলোচনা সভায় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় বিজিবি মহাপরিচালক তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ৭৫ এর ১৫  আগস্ট শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পিলখানায় বাংলাদেশ রাইফেলসের তৃতীয় ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসকে চোরাচালান দমনে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘ইমানের সাথে কাজ করো, সৎ পথে থেকো, দেশকে ভালোবাসো। ’

জাতির পিতার এই কালোত্তীর্ণ দিকনির্দেশনায় উজ্জীবিত হয়ে বিজিবি মহাপরিচালক দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মাদক চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার রোধ, দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে প্রতিটি বিজিবি সদস্যকে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন,  প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উপনীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রতিটি বিজিবি সদস্য দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিজিবি মহাপরিচালক।

দিবসটি উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সীমান্তবর্তী ৮,৭৬০টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে শুকনা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ এবং মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ১৬,৭৯৭ জন রোগীকে বিনামূল্যে জরুরী চিকিৎসাসেবা প্রদান ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতি’র তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সীমান্ত কলকাকলি চিলড্রেন ক্লাব এবং অফিসার্স চিলড্রেন ক্লাবের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশেষ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ওই চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতি (সীপকস) এবং সীমান্ত অফিসার্স চিলড্রেন ক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মনোয়ারা নাজমুল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার দেন। এছাড়াও বিজিবি পরিচালিত সকল স্কুল ও কলেজে জাতীয় কার্যক্রম অনুযায়ী যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।