ঢাকা: ডিজিটাল সেবার দেওয়ার মাধ্যমে মানুষের মনে ভূমি সেবা সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব ফিরে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার মধ্যে নিহিত ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার সফলতা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ভূমি ভবনের সম্মেলনকক্ষে অটোমেটেড ভূমিসেবা সিস্টেম সফটওয়্যার সমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, অনলাইনে ঘরে বসে মৌজা ম্যাপ, জমির পরচা, খতিয়ান পাবেন তেমনি ভাবে জমির খাজনাও দিতে পারবে। এই পদ্ধতিতে কোনো ভোগান্তি, অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতি থাকবে না। ডিজিটাল ভূমিসেবার ফলে ভূমি সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা কমে যাবে, ফৌজদারি মামলার সংখ্যাও কমবে।
সভায় প্রকল্প পরিচালক জানান, ২০১৭ সালে সারা দেশে অনলাইনে নামজারি সেবা চালু হলেও বর্তমানের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি উন্নততর সংস্করণ তৈরি করা হয়েছে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৭ বছর ৯ মাসে মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮০টি নামজারির আবেদন জমা পড়েছে। নিষ্পত্তির হার ৯৭.৩ শতাংশ। নাগরিক আবেদনের অনেক তথ্য সিস্টেম হতে অটোমেটিকভাবে যাচাই হয়ে যাবে। অটোমেটেড ভূমিসেবার সফটওয়্যারগুলোকে জনবান্ধব ও ব্যবহার উপযোগী করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন ঘটানো হয়েছে।
সভায় সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এ জে এম সালাউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহাম্মদ ইব্রাহিম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. মাহবুব হাসানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
জিসিজি/আরআইএস