ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বাঙালির সহস্র বছরের আকাঙ্ক্ষা ধারণ ও বাস্তবায়ন করেন বঙ্গবন্ধু

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
বাঙালির সহস্র বছরের আকাঙ্ক্ষা ধারণ ও বাস্তবায়ন করেন বঙ্গবন্ধু

ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, বাঙালির সহস্র বছরের আকাঙ্ক্ষা ধারণ ও বাস্তবায়ন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাংলাকে 
রাজনৈতিক সত্তা দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব পালন করেন।

 

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ৪৮ বছর পর এ কলঙ্ক থেকে দায়মুক্তি পেতে হলে বাঙালি জাতিকে চিন্তার অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা এবং ব্যক্তিগত লোভ লালসা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় আল্লামা সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও চিন্তা চেতনার বিষয়ে গবেষণা ও ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ও জাতীয়তাবাদ গঠনে সহস্র বছরে বঙ্গবন্ধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ত্যাগ, অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি, অভিজাত শ্রেণির ঊর্ধ্বে উঠে দেশের সব মানুষকে একত্রিত করে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষমতা বঙ্গবন্ধুকে অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। বঙ্গবন্ধুর অনন্য অবদানের জন্য বাঙালি জাতি চিরদিন তাঁর কাছে ঋণী থাকবে।

ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদশিদের মধ্যে ড. আবেদ চৌধুরী, ড. কামাল উদ্দিন এবং ড. এজাজ মামুন বক্তব্য দেন।

আলোচকগণ জাতির পিতার কিংবদন্তী নেতৃত্ব ও অবদানের ওপর আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর তৈরি পথরেখা অনুসরণ করে একটি আদর্শভিত্তিক ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।  

আলোচকগণ উল্লেখ করেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। তারা বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা ও আপোষহীন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বক্তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এসময় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীসহ উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এসময় জাতির পিতার স্মৃতির ওপর নির্মিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। গতকাল সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
টিআর/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।