ফরিদপুর: ফরিদপুর জেলা শহরের চুনাঘাটা থেকে পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের বাড়ি পর্যন্ত কুমার নদের বেড়িবাঁধ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ধসে গেছে।
গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ওই সড়কটির গুহলক্ষ্মীপুর এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে স্থানীয়রা।
কর্মসূচি চলাকালে স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাওন খান বলেন, দীর্ঘ চার বছর ধরে বেড়িবাঁধ সড়কটি বেশ কয়েক জায়গায় ধসে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এ সড়কে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, পল্লীকবির বাড়ি যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীদের। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স এমনকি সাধারণ যানবাহনও চলাচল করতে পারে না। প্রতিনিয়ত এ রাস্তায় চলাচলকারী রিকশা-ভ্যান উল্টে হতাহত হচ্ছেন মানুষজন এবং যানমালের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া ভাঙন হুমকিতে রয়েছে কয়েকশ বসতবাড়ি। সড়ক সংস্কার ও বসতবাড়ি রক্ষার্থে অনতিবিলম্বে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
আরেক বাসিন্দা গোলাম রব্বানী বলেন, গত বছর সড়কের ধসে যাওয়া বিভিন্ন স্থানে কিছু বালুর বস্তা ফেলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান হয়নি। স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা না নিলে কুমার নদ সংলগ্ন সড়কটি বিলীন হয়ে যাবে।
আহম্মদ আলী বলেন, কুমার নদের বেড়িবাঁধ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ধসে গেছে। এলাকায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারে না। আমাদের খুব ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই রিকশা-ভ্যান উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
আরেক বাসিন্দা হারুন মণ্ডল বলেন, চুনাঘাটা থেকে পল্লীকবির বাড়ি পর্যন্ত সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কবির বাড়িতে আসেন দর্শনার্থীরা। তাদেরও বিপাকে পড়তে হয়। আরেকটি সড়ক থাকলেও সেটার দূরত্ব বেশি। তাই দ্রুত এই সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাই।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল জলিল শেখ বলেন, সড়কটি সংস্কারে পৌরসভার পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, গত বছর ওই সড়কের ভাঙন এলাকায় জিওব্যাগ (বালুভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ফেলা হয়েছিল। এ বছর এখনও ভাঙন দেখা দেয়নি, তবে ভাঙন দেখা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
এসআরএস
