ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জবির ডে-কেয়ার সেন্টারের সংকট-সংকীর্ণতা কাটছে না

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
জবির ডে-কেয়ার সেন্টারের সংকট-সংকীর্ণতা কাটছে না

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তারুণ্য সতেরো পেরিয়ে আঠারোয় পা রাখলেও রয়েছে নানাবিধ সংকট। মূলত সংকট-সংকীর্ণতায় আচ্ছন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডে-কেয়ার সেন্টার।

পর্যাপ্ত জনবলের অভাব ও অনুন্নত কাঠামোয় রয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ডে-কেয়ারটি। পর্যাপ্ত প্রচারণা না থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর কাছেই অচেনা প্রতিষ্ঠানটি। ফলে সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীরাও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাত্র অর্ধশত অভিভাবক বর্তমানে এই সেবা গ্রহণ করছেন। বিশাল সংখ্যার শিশুর জন্য মাত্র একজন তত্ত্বাবধায়ক, একজন সেবাকর্মী ও একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আছেন। ডে-কেয়ার সেন্টারে ভর্তি হয়ে এক থেকে দুবছর বয়সী শিশুদের জন্য মাসে আড়াই হাজার টাকা ও দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের জন্য মাসে দেড় হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ দিয়ে সেবা নেওয়া যায়। রয়েছে খণ্ডকালীন নেওয়ার সুযোগও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সোনিয়া পারভীন তার সন্তান আয়াতকে রেখেছেন এ ডে-কেয়ারে। সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও সংকট সংকীর্ণতার বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয়েছে তার। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, এখানে (ডে-কেয়ারে) সবাই অনেক আন্তরিক। মেয়েটাকে খুব যত্নে রেখে দেয়। অনেকটাই নিশ্চিন্তে থাকতে পারি। কিন্তু নানাবিধ সংকট আছে। পরিবেশটা আরও সুন্দর করা যায়।

শুরুর পর থেকে অপরিবর্তিত ও অপর্যাপ্ত বেতন নিয়েও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন এখানে কর্মরত সেবাদাতারা। ডে-কেয়ার সেন্টারটির তত্ত্বাবধায়ক শাকিলা জামান সুবর্ণা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে প্রায় অর্ধশত বাচ্চা রাখার রাখার সুবিধা আছে। এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিজেদের সন্তান রাখেননি। আমাদের আটটি কক্ষে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও এ ধরণের আসন বিন্যাস ডে-কেয়ারের জন্য আদর্শ নয়। আর মাত্র তিনজন মিলে পুরোটা সামলানো কষ্টকর। স্বল্প বেতনে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা করা কষ্টকর।

ডে-কেয়ার সেন্টারের আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সংকীর্ণতাগুলো দূর করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ স্যারকে আমাদের সমস্যাগুলো জানিয়েছি। নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হতে পারলে আমাদের সমস্যার সমাধান হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্ষ বরাদ্দ কমিটির আহ্বায়ক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের নানাবিধ সংকট আছে। তবুও চেষ্টা করছি সব দিকে সমাধান করার। এটা নিয়েও কাজ করবো। আরও স্বাচ্ছন্দ্যময়ী করা হবে। নতুন ক্যাম্পাসে নান্দনিক পরিবেশ হবে।

বাংলাদেশ সসময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।