ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

দেশকে এগিয়ে নিতে আ.লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
দেশকে এগিয়ে নিতে আ.লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী 

ঢাকা: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বিকল্প নেই।  

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনীর উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

কে এম খালিদ বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, নিরাপদ, সুখী-সমৃদ্ধ, সোনার বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বজায়  রাখতে হবে। দেশ ও জাতির স্বার্থে বর্তমান সরকারকে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অন্যথায় জাতির ভাগ্যাকাশে অমানিশার অন্ধকার নেমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে '৭৫ এর ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, সেই খুনি জিয়ার পক্ষে রাজপথে স্লোগান দেওয়া হয়- যা এ জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আমার কি অনুভূতি হয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা বেশ কঠিন। আমি শুনে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। তখন বেতারে সংবাদ শোনার পর বারবার মনে মনে ভেবেছিলাম এটা যেন সত্য না হয়। নির্মম, নিষ্ঠুর সত্যকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না।  

গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।  

সংস্কৃতি সচিব বলেন, জাতির পিতার জীবনাদর্শকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনী আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ। সেজন্য গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামীতে দেশব্যাপী এ ধরনের পুস্তক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই দেশের আটটি বিভাগে বইমেলা আয়োজিত হবে।

উল্লেখ্য, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত এ পুস্তক প্রদর্শনীতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়টি দপ্তর-সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে। দপ্তর-সংস্থাগুলো হলো- গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
এইচএমএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।