ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা, কাউকে যেন চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না হয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
‘প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা, কাউকে যেন চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না হয়’

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা, দেশের নাগরিদের যাতে বিদেশে চিকিৎসা নিতে না হয়। ক্যান্সার, হার্ট, লিভার, হেয়ার ইমপ্ল্যান্ট, স্টেম সেল থেরাপি, বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে চিকিৎসা দেশেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশলাইজড হাসপাতালের সাত তলার কেবিনে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার পর তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা, দেশের কোনো মানুষকে যাতে দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে না হয়। আমাদের জানতে হবে কোন কোন কারণে রোগীরা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়। রোগীরা ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বাইরে যায়, আমরা সেটি এখানে চালু করতে চাই। রোগীরা হার্টের চিকিৎসার জন্য বাইরে যায়, লিভারের চিকিৎসার জন্য যায়। এসব চিকিৎসাও এখানে দেওয়া হচ্ছে। আমরা আগামীতে হেয়ার ইমপ্ল্যান্ট, স্টেম সেল থেরাপি, বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে কাজ করব। শিশু হৃদরোগের জন্য রোগীরা বাইরে যায়। এর চিকিৎসা এখানে দেওয়া হবে।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আরও বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের বৈশিষ্ট্য হল, একজন চিকিৎসক একজন রোগীকে কমপক্ষে ১০ মিনিট সময় দেবেন এবং ২০ জনের বেশি রোগী দেখবেন না। এমন করে সেবা দেওয়া হলে, রোগীর সঙ্গে চিকিৎসকরা কথা বলার সুযোগ বেশি পাবেন। চিকিৎসকরা রোগীদের বেশি কাউন্সিলিং করার সুযোগ পাবেন। আমাদের এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে রোগীরা যথাযথ সেবা পায় বলেই এত ভিড়। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের রোগীরা সেবায় সন্তুষ্ট বলেই রোগীরা সকাল থেকে চিকিৎসকদের জন্য অপেক্ষা করেন।

রোগীদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত সে সম্পর্কে তিনি বলেন, মিষ্টি ভাষায় কথা বলা উচিৎ। রোগীদেরকে ‘মা’, ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করা উচিৎ। রোগীরা নানা কথা বলবে। কিন্তু তাতে বিরক্ত হওয়া যাবে না।   রোগীরা অনেক কথাই বলে। চিকিৎসকরা সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে রোগীর সেবা দিয়ে থাকেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুর রহমান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আব্দুল্লাহ্ আল হারুন, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ক্যাথল্যাব ইনচার্জ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রসুল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ কুমার কুন্ডু,  উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
আরকেআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।