ঢাকা: রমনা পার্কের ভেতরে থাকা রেস্তোরাঁটি পাঁচ বছরের জন্য ইজারা দেওয়ার জন্য গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। রেসপনসিভ চারটি প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি।
সূত্র মতে, সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৭৬ লাখ ১৯ হাজার ৭৮০ টাকা দর প্রস্তাব করে হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু সর্বোচ্চ দর হাঁকিয়েও কাজে অনাগ্রহ দেখায় প্রতিষ্ঠানটি।
‘ঢাকার ফুসফুস’খ্যাত সাত দশক বয়সী এ পার্কের লেক ঘিরে সৌন্দর্য বর্ধনের এই পরিকল্পনা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। সেই কৃতিত্ব অবশ্যই গণপূর্তের। পার্কটির অভ্যন্তরে ভ্রমণ পিপাসুদের কথা চিন্তা করে একটি রেস্তোরাঁ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, সাত সদস্যের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ পেয়েও হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল অজানা কারণে আর কাজে আগ্রহ দেখায়নি। প্রতিষ্ঠানটির অপেশাদার আচরণের কারণে সরকারের রাজস্ব হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। তখন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেন শুধু বাজেট নয়, পেশাদারত্বও বিবেচনায় নিতে হবে, তারপর রি-টেন্ডার না করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজ দেওয়ার চূড়ান্ত পক্রিয়া শুরু হয় বলে জানান দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মণ্ডল।
গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, আমরা রাষ্ট্রের ন্যাস্ত দায়িত্ব পালন করি, যারা আমাদের সাথে নানাভাবে কাজ করতে আসেন তাদের কাছে আমরা পেশাদারত্ব আশা করি। আর রমনা পার্ক নিয়ে আমি কী বলবো, আপনি নিজে গিয়ে ঘুরে দেখে আসুন, গণপূর্ত অধিদপ্তর ঢাকার নাগরিক জীবনে রমনা পার্ককে রি-ফর্ম করে উপহার দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুনাফার হিসেবে নিজেদের দরে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের জন্য। গণপূর্তের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কাছে বরাদ্দ না নেওয়ার কথা উল্লেখ করে চিঠিও দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
এমজেএফ