নীলফামারী: নীলফামারীতে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সারাদিন বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় বাসা-বাড়িতেও পানি উঠেছে।
কেউ কেউ মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে মাছও ধরছেন। তবে এমন পরিস্থিতিতে বন্যার্ত এলাকার লোকজন ও নিম্ন আয়ের মানুষরা বেকায়দায় পড়েছেন।
জেলার সৈয়দপুর পৌরসভার পাড়া-মহল্লায় পানি জমে যাওয়ায় লেকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শহরের প্রধান সড়কে হাঁটু পানি মাড়িয়ে লোকজনকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া সাহেবপাড়া, বাঁশবাড়ি, মুন্সিপাড়া, চাঁদনগর, আলম প্রেস লেন, গোলাহাট এলাকার প্রধান সড়কে পানির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। শহরের বিভিন্ন এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
এবারে আষাঢ়, শ্রাবণে জেলায় তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। কৃষকরা শ্যালো মেশিন চালিয়ে আমনের চারা লাগায়েছেন। আর সেই চারা সতেজ হওয়ার সময় এমন ভারি বৃষ্টিপাত কৃষকদের ভাবিয়ে তুলেছে।
নিম্নাঞ্চলে লাগানো চারা পানিতে বেশিদিন তলিয়ে থাকলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ সময় কৃষক আর আমনের চারাও সংগ্রহ করতে পারবেন না।
অপরদিকে ডিমলায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। নদীর তীরবর্তী ছয় ইউনিয়নের ১৫টি চরের অন্তত ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া উপজেলার পশ্চিম খড়িবাড়ি, কিছামত ছাতনাই, ঝাড় সিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, বাইশপুকুর, ছাতুনামা, কেল্লাপাড়া ও ভেন্ডাবাড়ি এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যাকবলিত মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
এফআর