ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ইসলামের সম্মান রক্ষায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে পৃথক ধারার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৩
ইসলামের সম্মান রক্ষায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে পৃথক ধারার দাবি

ঢাকা: ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম উল্লেখ করে এর সম্মান রক্ষায় প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে পৃথক ধারা করার দাবি জানিয়েছে ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজ নামে একটি সংগঠন। পাশাপাশি রাষ্ট্রধর্মের অবমাননাকারীদের এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখারও দাবি জানায় সংগঠনটি।

শনিবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটির নেতারা এসব দাবি জানান।

মানববন্ধনে ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মুহম্মদ আবু সায়েম রিমন বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হচ্ছে ইসলাম। রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষা দেওয়া রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষায় দেশে পৃথক কোনো আইন নেই। প্রায়ই দেখা যায় কিছু দুষ্কৃতিকারী রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করে কিন্তু রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষায় পৃথক কোনো আইন না থাকায় সে অপরাধ কার্যকর উপায়ে রোধ করা যায় না। সরকার যেহেতু আমাদের কাছে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে মতামত জানতে চেয়েছে, তাই বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের মতামত হচ্ছে, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সম্মান সুরক্ষায় পৃথক ধারা সংযুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রধর্মের অবমাননা রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রধর্মের অবমাননায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখতে হবে।

ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহম্মদ মাসউদুজ্জামান বলেন, প্রস্তাবিত আইনের খসড়া পাঠে আমরা জানতে পেরেছি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বা ২৮ ধারার সাজা হ্রাস করা হবে, এটি খুব উদ্বেগজনক বিষয়। কারণ ২০১৩ সালের সাইবার ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার আগে অনলাইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত রোধে কার্যকরী শক্ত কোনো আইন ছিল না। ফলে এ অপরাধ রোধ হচ্ছিল না। যার প্রতিক্রিয়ায় দেশে ভয়ংকর অস্থিতিশীলতা তৈরি হয় এবং শাপলা চত্বরে আন্দোলনের মতো ঘটনা ঘটে। ২০১৩ সালের পর শক্ত আইন কার্যকরের মাধ্যমে অনলাইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। কিন্তু এই সাজা যদি হ্রাস বা দsর্বল করা হয় তাহলে পুনরায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধ বৃদ্ধি পাবে। যার প্রতিক্রিয়ায় দেশে আবারও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে।

ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের সদস্য অ্যাডভোকেট মুহম্মদ জাহিরুদ্দিন বলেন, বর্তমানে অনলাইনে অনেক নিষিদ্ধ বস্তুর ক্রয়- বিক্রয়, লেনদেন ও প্রচারণা হয়। যেমন; মদ ও নেশাজাতীয় দ্রব্য, নিষিদ্ধ বই, বিস্ফোরক আতশবাজি, জুয়া বা রেটিং, পতিতাবৃত্তি, কিডনি ক্রয়-বিক্রয়, সমকামিতা ইত্যাদি অনলাইনের মাধ্যমে অনেক সহজলভ্য আকার ধারণ করেছে। প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে অনলাইনে এ সমস্ত নিষিদ্ধ বস্তুর প্রচার, ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেনকেও অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুহম্মদ আরিফুল খবীর, মুহম্মদ হাবীবুর রহমান, মুহম্মদ রওশন আলী, অ্যাডভোকেট মুহম্মদ জাভেদ হাসানসহ ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৩
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।