ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পঁচাত্তরের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন সময়ের দাবি: শেখ পরশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৩
পঁচাত্তরের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন সময়ের দাবি: শেখ পরশ

ঢাকা: যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোস উন্মোচন করতে স্বাধীন কমিশন গঠন এখন এই প্রজন্মের সময়ের দাবি ৷
শনিবার(২৬ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান এ কথা জানান ৷

পরশ বলেন, এই আগস্ট মাসে বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট এবং জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল । এই হত্যাকাণ্ড ছিল সুদূরপ্রসারী এক পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শত্রুরা প্রতিশোধ নিয়েছিল বাঙালি জাতির উপর।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যা কোন সাধারণ হত্যাকাণ্ড না। এই মহান নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল একাধিক অশুভ উদ্দেশ্য সাধণের জন্য। প্রথমত, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে তাদের পরাজয় মেনে নিতে পারেনি; দ্বিতীয়ত, তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত করা মেনে নিতে পারেনি৷ তারা পাকিস্তানের ধর্মভিত্তিক সংবিধান প্রত্যাখান করে বাংলাদেশের জন্য একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রণয়ন মেনে নিতে পারেনি। যুবলীগ দাবি করছে যে ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের লক্ষ্যে একটা জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে ঐ ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোস উন্মোচন করতে হবে।

বিশেষ অতিথি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জিয়ার খুনি পুত্র তারেক জিয়ার নির্দেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায় বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা। সেই হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী প্রাণ হারায়। সন্ত্রাসী তারেকের নেতৃত্বে এদেশে অস্ত্রের ঝনঝনানী শুরু হয়েছিল। তারই প্রত্যক্ষ মদদে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার  ও সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত প্রমুখ ৷

বাংলাদেশ সময় ২১৪৪ ঘন্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৩
এসকে/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।