ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গে লাখ টাকা জরিমানা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গে লাখ টাকা জরিমানা  মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন

ঢাকা: ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গে দুই হাজার টাকা জরিমানার পরিবর্তে এক লাখ টাকা বা এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার শাস্তির বিধান রাখে ভূমি সংস্কার আইন ২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।  

সোমবার (২৮ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের সামরিক শাসনামলে যে আইনগুলো ছিল সেগুলো প্রয়োজন অনুসারে আইনগুলো বাতিল করে নতুন আইন করতে বলা হয়েছিল। আমাদের ল্যান্ড রিফর্ম অধ্যাদেশ ১৯৮৪ ছিল। সেটিকে সংশোধন করে নতুন করে ভূমি সংস্কার আইন ২০২৩ এর খসড়া, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে উপস্থাপন করা হয়েছিল। সেটি আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, এই আইনে আগে যে ল্যান্ড রিফর্ম অধ্যাদেশ ছিল সেখানে যে ধারাগুলো ছিল। সে ধারাগুলো পরিবর্তন করে বা কয়েকটি জায়গায় সামান্য আপডেট করেছে। যেমন, আগের আগে ছিল, ৬০ বিঘার বেশি কেউ কৃষি জমির মালিক থাকতে পারবে না।  এখানে বলা হয়েছে যে, বিশেষ ক্ষেত্রে এটি শিথিল যোগ্য। সে বিষয়গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে কোনো সমবায় সমিতির সব সদস্য তাহাদের জমির মালিকানা যদি সমিতি অনুমতি দেয় তখন সেটি হতে পারে চা, কফি, রাবার,অন্য কোনো ফলের বাগানে ব্যবহৃত জমির জন্য এটি প্রযোজ্য হবে না। কোরো শিল্প প্রতিষ্ঠান নিজস্ব কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য কোনো ভূমি ব্যবহার করতে চায় তখন এটি প্রযোজ্য হবে না।  

এছাড়া রপ্তানিমুখী শিল্প, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করলে ক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয় তখন প্রযোজ্য হবে না। ওয়াক্ফ, দেবোত্তর বা ধর্মীয় ট্রাস্টের ক্ষেত্রে উহার মালিকানাধীন ভূমির আয় ধর্মীয় কাজে ব্যবহার হয় এ কয়টা বিষয় সংযোজন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন ও তথ্য ভাণ্ডার সংরক্ষণের একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। যেটি আসলে আগের আইনে ছিল না। আর একটি বিষয় যোগ করা হয়েছে সেটা হলো আগের আইনে ছিল ভূমি ব্যবস্থাপনার কোনো আইন যদি কেউ ভঙ্গ করে তখন দুই হাজার টাকা জরিমানার ব্যাপার ছিল। আজ যে ড্রাফট উপস্থাপন করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, আইন ভঙ্গ করলে এক লাখ টাকা বা এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।  

৬০ বিঘার চেয়ে যারা অনেক বেশির সম্পত্তির মালিক তাদের ক্ষেত্রে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি এরকম কেউ থাকে এবং যদি কেউ সে আইনের আওতায় মামলা করেন তাহলে নতুন আইনে যে শাস্তির বিধান রয়েছে।   

তাদের চিহ্নিত কীভাবে করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনেতো সে বিষয় বলা থাকে না। আইনে বলা আছে, যদি কেউ ৬০ বিঘার বেশি জমি নতুন করে কেনেন। তখন ওই অংশটা সরকারের নজরে এলে সরকার সেটা নিয়ে নিতে পারবে। আইনে যে ধারাটা সংযোজন করা হয়েছে। সেটি হলো এই যে আপনার ৬০ অধিক আপনি নতুন কোনো মালিকানা নিতে পারবেন না। নতুন কোনো মালিকানা নিতে পারবেন না। বলা হয় নাই এখানে ৬০ বিঘার বেশি থাকলে আপনাকে ছেড়ে দেবে। যদি আপনার ৬০ বিঘা কৃষি জমি থাকে তাহলে নতুন করে আর মালিকানা নিতে পারবেন না। উত্তরাধিকার সূত্রে হোক বা নিজের কেনা হোক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
জিসিজি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।