ঢাকা: চলমান মূল্যবৃদ্ধির কবলে পড়েছে সবজির বাজার। সবচেয়ে কম দামে যে সবজি বিক্রি হচ্ছে সেটিও ৪০ টাকায়।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট বাজার, মেরাদিয়া হাট, গোড়ান বাজারসহ আশপাশের এলাকার বেশকিছু বাজার ঘুরে সবজির বর্তমান বাজারদর সম্পর্কে জানা গেছে। কথা হয়েছে বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও।
আজ এসব বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার উপরে। লম্বা বেগুন ১১০; গোল বেগুন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া করল্লা ১০০; গাজর ১৫০-১৮০; টমেটো ১২০; বরবটি ১০০; কচুরমুখী ১০০; কাঁচা মরিচ ২০০; ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
কেজি প্রতি ৬০ টাকার উপরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে শসা ৬০-৭০; পটল ৬০-৮০; কাঁকরোল ৮০; মূলা ৬০; ধুন্দল ৮০; ঢেঁড়স ৮০; চিচিঙ্গা ৬০ টাকা। লাউ ৮০; চাল কুমড়া ৭০-৮০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।
সবচেয়ে কম দামে যে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে সেটি পেঁপে-৪০ টাকা। মিষ্টি কুমড়াও বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম বাড়ছে। উৎপাদন কমে যাওয়া, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজি সবজির দাম বাড়ার কারণ।
মেরাদিয়া হাটে বাজার করতে আসা দক্ষিণ বনশ্রীর বাসিন্দা ইসরাত জাহান বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসারের বাজেট নষ্ট হচ্ছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে টিকে থাকাটাই মুশকিল হবে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে চলা এই সবজির বাজারের লাগাম টানবে কে? সরকারের উচিত সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। আগে এক থেকে দেড়শ টাকার সবজি কিনলে কমপক্ষে দুদিন রান্না করা যেত। আর এখন এই টাকায় ভালো করে দুইবেলা খাওয়ার জন্য সবজি পাওয়া যায় না।
দাম কেন বাড়ছে জানই চাইলে খিলগাঁও রেলগেট বাজারের সবজি বিক্রেতা ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কিছুই করার নেই। আড়ৎ থেকে দাম বাড়ায়। আমরা যে দামে কিনি, অল্প কিছু লাভে বিক্রি করি। আমরা তো আর বাজার নিয়ন্ত্রণ করি না। সবকিছুর দাম তো বাড়ছে, তাও তো মানুষ কিনছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। এছাড়াও, দেশে আমদানি নির্ভরতার কারণেও সবজির দাম বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩
ইএসএস/এমজে