সিরাজগঞ্জ: জেলার যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এতে ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে জেলার পাঁচ উপজেলার ৪২ ইউনিয়নের কয়েকশ গ্রাম।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক আট মিটার। ২৪ ঘণ্টায় আট সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা: ১২ দশমিক ৯০ মিটার)।
অপরদিকে কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে বুধবার সকালে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৯১ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় আট সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার)।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার বন্যা সতর্কীকরণ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে জেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। পরবর্তীতে উন্নতি লাভ করবে।
এদিকে যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার প্রায় ৪২টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে এসব অঞ্চলের আবাদি জমি। প্রতিদিনই শত শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত তিন উপজেলার প্রায় এক হাজার ৬৪২টি পরিবার পানিবন্দী হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ৭৪০ মেট্রিক টন জিআর চাল, ১৭ লাখ নগদ টাকা, দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, গো-খাদ্যের জন্য পাঁচ লাখ ও শিশু খাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা মজুদ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩
এসআইএ