ঢাকা: ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩সহ মোট তিনটি ভূমি বিষয়ক আইনের খসড়া বিল আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপন হচ্ছে আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর)।
অপর দুটি আইনের খসড়া হচ্ছে, ‘ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩’ ও ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন ২০২৩’।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪ তম অধিবেশন শুরু হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ এ প্রধান বৈশিষ্ট্যে হচ্ছে, ভূমি সম্পর্কিত বেশকিছু অপরাধকে চিহ্নিত করে তা ফৌজদারি অপরাধের আওতায় নিয়ে আসা। সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে। এতে নাগরিকেরা নিজ-নিজ মালিকানাধীন ভূমির নিরবচ্ছিন্ন ভোগ-দখলের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারবেন। এই আইনে ভূমি বিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং একইসাথে প্রতিরোধ, দমন ও প্রয়োজনে প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আইন ভঙ্গ করলে জরিমানা ও কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডের বিধান রাখা আছে।
ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ব্যক্তি ক্ষেত্রে কৃষি জমি মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা ৬০ বিঘার বিধান। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনটিকে শিথিল করা হয়েছে। সমবায় সমিতির মাধ্যমে চা, কফি ও রাবার বাগান, শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনটি শিথিল থাকবে। এই আইনে বাস্তুভিটার অধিকার, বর্গাচুক্তি ও উৎপন্ন ফসলের ন্যায্য ভাগের কথাও বলা হয়েছে।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩’র প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কোনো ফসলি জমি থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ করার বিধান। এ ছাড়া নদীর নাব্য নষ্ট হতে পারে এমন স্থান থেকেও বালু উত্তোলন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের যন্ত্র জব্দ করা যাবে। বালু পরিবহনে রাস্তার কোনো ক্ষতি হলে ইজারাদার কর্তৃপক্ষকে রাস্তা আবার মেরামত করে দিতে হবে এই আইনের আওতায়।
এছাড়া কৃষিজমি সুরক্ষা, অ-কৃষি জমির সর্বোচ্চ সীমার বিধান, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসের উদ্দেশ্যে করার উদ্দেশ্যে ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন, ২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্তকরণের কাজ করছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
জিসিজি/এমজে