ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিবন্ধীকে ভয় দেখিয়ে আ.লীগ নেতার নামে মিথ্যা অভিযোগ!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
প্রতিবন্ধীকে ভয় দেখিয়ে আ.লীগ নেতার নামে মিথ্যা অভিযোগ!

পাবনা: সম্প্রতি পাবনা সদরের চরতারাপুর ইউনিয়নে ‘প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আওয়ামী লীগ নেতার পকেটে’  শীর্ষক প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।  

সেসব প্রতিবেদনে বলা হয়, চরতারাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বাবু স্থানীয় প্রতিবন্ধী দিলবার শেখের ভাতার অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

এই সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে জেলাতে।

সেই ঘটনার প্রকৃত রহস্য তুলে ধরতে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী দিলবার শেখ।  

তিনি জানান, মুস্তাফিজুর রহমান বাবুর ওপর মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান খান তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভাতার অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন। এ অভিযোগ করাতে দিলবারকে তিনদিন আটকেও রাখেন চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান।  

দিলবার শেখের পক্ষে এ লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন, স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ড এর উইপি সদস্য মো. রনি আহম্মেদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দিলবারের ছেলে আসাদুল্লাহ শেখ, ভাতার অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বাবু, সহ-সভাপতি মো. ছাত্তার খান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো, নিরব হোসেন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান খান শহরের লাইব্রেরি বাজার এলাকায় দিলবার শেখকে তিন দিন আটকে রাখেন। পরে তাকে দিয়ে এই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বাবুর নামে লিখিত মিথ্যা অভিযোগ করান।  

রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে চেয়ারম্যান সিদ্দিক দিলবারকে দিয়ে এ অভিযোগ করিয়েছেন বলে জানান তারা।

লিখিত বক্তব্যের পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী দিলবার শেখ বলেন, আমার ভাতার টাকা বাবু বা কেউ আত্মসাৎ করেনি। আমার ভাতার টাকা বাবুর মাধ্যমে নিয়মিত পেয়েছি। আমার মোবাইল ফোন নাই।  প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করার সময় বাবুর ফোন নম্বর দিয়ে কার্ড করেছি।  আমি মুর্খ মানুষ, লিখতে পড়তে পারি না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চেয়ারম্যান ওই অভিযোগ লিখে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক টিপসই নিয়েছেন।  আর বাবুর সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নাই। জোর করে আমাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করার কারণে বাবুর সম্মান নষ্ট হয়েছে।

এরপর প্রকৃত সত্য ঘটনা তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করেন দিলবার শেখ ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান সিদ্দিক খানকে তার মোবাইল ফোনে একাধিকার কল করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।