নীলফামারী: এলাকাবাসীর নিজেদের প্রয়োজনে নিজেরাই অর্থসহায়তা দিয়ে তৈরি করলেন কাঠের সেতু। এলাকাবাসীর অভিযোগ জনপ্রতিনিধির কাছে গিয়েও কোনো অর্থ সহায়তা পায়নি, কেউ কথা রাখেননি।
জানা যায়, চারালকাটা নদীর ঘুঘুমারী নাওঘাটে ১৯৭১ সালে একটি বাঁশের সাঁকো ছিল। বন্যায় সাঁকোটি ভেঙে গেলে স্বাধীনতার ৫২ বছরেরও সেখানে নির্মাণ হয়নি কোনো সাঁকো। এতে রামনগর, শিমুলবাড়ি ও খুটামারা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে জেলা সদরে যেতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হতো স্থানীয়দের। ঘুরে না গেলে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হন এলাকার মানুষ।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, সরকারি অফিস আদালতে যাতায়াতে পোহাতে হতো চরম দুর্ভোগ। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে দুর্ভোগ পোহাতে হতো।
স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ঘুঘুমারী সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের উদ্যোগে এলাকাবাসীদের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা তুলে রড সিমেন্টের পিলার ও কাঠ দিয়ে বানানো হয় দৃষ্টিনন্দন এই সেতু। ৫৩টি খুঁটির ওপর দাঁড়ানো লাল, সাদা, সবুজ রং আকর্ষণীয় করে তুলেছে নাওঘাট এলাকার সেতুটিকে। কাঠের সেতুটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন। ফলে প্রশংসায় ভাসছেন এলাকার মানুষ।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, নীলফামারীবাসীর সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থানে সড়ক সেতু ও অন্য অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে। বেশিরভাগ জায়গায় কাজগুলো শেষও হয়েছে। যে সব জায়গায় কাজ বাকি আছে সেগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্রমান্বয়ে সেতু ও সড়ক নির্মাণ করার চেষ্টা করছি আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এসএম