ঢাকা, রবিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

৪ মোবাইল কোম্পানির কাছে সরকারের বকেয়া ৭৬৯২ কোটি টাকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
৪ মোবাইল কোম্পানির কাছে সরকারের বকেয়া ৭৬৯২ কোটি টাকা

ঢাকা: দেশের ৪টি মোবাইল কোম্পানির কাছে সরকারের বকেয়া পাওনার মোট পরিমাণ ৭ হাজার ৬৯২ কোটি ৬৭ লাখ বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সোমবারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

মোস্তাফা জব্বার  বলেন, বর্তমানে দেশে ৪টি মোবাইল কোম্পানি পরিচালিত হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ওই মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো সরকারকে ৩ হাজার ১৭৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা রাজস্ব পরিশোধ করেছে। এছাড়া, বিটিআরসির অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগে সংরক্ষিত সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মোবাইল অপারেটরগুলির কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৭ হাজার ৬৯২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বকেয়া রয়েছে গ্রামীণ ফোনের কাছে ৬ হাজার ১০১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলালিংক ৮৮০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। রবি আজিয়াটার বকেয়ার পরিমাণ ৫৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং  সিটিসেলের কাছে ১৭০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।

এছাড়াও টেলিটকের কাছে ১২৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি জানান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩জি স্পেকট্রাম এসাইনমেন্ট ফি বাবদ ১ হাজার ৫৮৫ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা ইক্যুইটিতে কনভার্সনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে  ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। তৎপ্রেক্ষিতে, অর্থ মন্ত্রণালয় হতে অদ্যাবধি কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি এবং স্পেকট্রাম চার্জ বাবদ ৩০ কোটি ২০ লাখ টাকা রেভিনিউ শেয়ার বাবদ ৪৩ কোটি ৮১ লাখ ও ঝঙঋ বাবদ বকেয়া ৪৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকাসহ মোট ১২৭ কোটি ৩৬ কোটি টাকা আদায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, আপাতত কলরেট পুনঃনির্ধারণের কোনো পরিকল্পনা নেই। মোবাইল অপারেটরগুলো একটি নির্দিষ্ট প্যাকেজ/অফার/বান্ডেলে অন-নেট এবং অফ-নেটের ভয়েস কলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ট্যারিফ যেকোন অপারেটরে মিনিট প্রতি দুই টাকা এবং সর্বনিম্ন ট্যারিফ যেকোন অপারেটরে মিনিট প্রতি ৪৫ পয়সার মধ্যে প্যাকেজ ডিজাইন করতে হয়। সর্বোচ্চ কলরেট দুই টাকা হলেও অপরারেটরগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এক টাকা মিনিটের কম রেটে বিভিন্ন প্যাকেজ ডিজাইন করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ