ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভাঙ্গায় প্রবাসীর বাড়িসহ ১০ বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
ভাঙ্গায় প্রবাসীর বাড়িসহ ১০ বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট

ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রবাসীর বাড়িসহ ১০ বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।

 

জানা গেছে, গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামে মালয়েশিয়া প্রবাসী গিয়াস মাতুব্বরের বাড়িসহ ১০ বসতবাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। সে সময় বসতবাড়ির ঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। হামলা শেষে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন — এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।  

পুকুরিয়া গ্রামে একটি দলের নেতৃত্ব দেন করিম মাতুব্বর, আরেকটি দলের নেতৃত্ব দেন তুহিন খান। গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে করিম মাতুব্বরের সমর্থক জনি শেখের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তুহিন ও তার লোকজনের। এরই জের ধরে করিম মাতুব্বরের সমর্থক প্রবাসী গিয়াস মাতুব্বর, নাজমুল ও নাজির শেখসহ ১০টি বসতবাড়িতে হামলা চালায় তুহিন ও তার লোকজন।

এদিকে, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে পুকুরিয়া রেল স্টেশন এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ধরনের ঘটনায় এলাকার মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।  

ভুক্তভোগী জনি শেখ বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমাকে থাপ্পড় দেন তুহিন খান ও তার লোকজন। সে সময় তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমি বাড়ি চলে আসি। সন্ধ্যার একটু আগে তুহিন ও তার লোকজন আমাদের বসতবাড়িসহ ১০টি বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় ঘরের বেড়া, মিটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

আরেক ভুক্তভোগী রাজিয়া সুলতানা বলেন, বাড়ির পুরুষ লোকজন সবাই বিদেশ থাকেন। আমরা শুধু নারীরা বাড়িতে ছিলাম। ওরা এসে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ঘরে থাকা তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও দুই লাখ টাকা নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমার এক ভাইয়ের স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তাকেও মারধর করেছে। আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছি।  

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হান্নান মাতুব্বর বলেন, পুকুরিয়া গ্রামের করিম মাতুব্বর ও তুহিন খানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। মাঝে মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষের দলাদলির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ ধরনের ঘটনা থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।  

ভাঙ্গা থানার পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদ্যুৎ সরকার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই এলাকার পরিবেশ বর্তমানে শান্ত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।