খুলনা: দীর্ঘ ১৯ বছর পর স্ত্রী হত্যার অভিযোগে করা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহিদ হাসানকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ফুলতলা থানাধীন বুড়িয়ারডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহিদ খানজাহান আলী থানার আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের পাড়িয়ারডাঙ্গা গ্রামের কাওসার মোল্লার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার জাহিদ ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি পান। যমুনা সেতু প্রকল্পেও তিনি কাজ করেন। ঢাকা সেনানিবাসে নবম বেঙ্গল রেজিমেন্টে একজন সৈনিক পদে তিনি চাকরি করতেন। স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে জাহিদ হাসান দশ দিনের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ গুম করতে নদীতে ফেলে দেন।
এরপর কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে তিনি পালিয়ে যান। এক পর্যায়ে জাহিদ হাসানের স্ত্রীর মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার হয় এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জাহিদ হাসানের নামে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় মামলা করেন (নম্বর-০৩, তারিখ- ০৬ জানুয়ারি, ২০০৪, ধারা-৩০২/২০১ পেনাল কোড)। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে জাহিদ হাসানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
একসময় জাহিদ হাসান ভারতে চলে যান। পরে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকেন। প্রায় ১২ বছর আগে তিনি যশোর রাজঘাটের মইনুদ্দিনের মেয়ে সুমিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সর্বশেষ তিনি খুলনায় ফিরে ফুলতলা এলাকায় বেজেরডাঙ্গা নামে একটি গ্রামে ওমর আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এবং তার নিজের নামসহ বাবা-মায়ের নাম পরিবর্তন করে শুধু হোসেন নাম ধারণ করেন। নিজের কিছুটা পরিবর্তন এনে ও মুখে দাড়ি রেখে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুদিন ধরে চাকরি করছিলেন তিনি।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
এমআরএম/এফআর