ঢাকা: সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে গরু ও খাসির মাংস ও চলতি সপ্তাহে গ্রীষ্মকালীন সবজির বাজার অপরিবর্তিত আছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৮০ টাকা দরে।
বিক্রেতারা বলছেন পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
শেওড়াপাড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাকিব বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় আমরাও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছি। তবে লেয়ার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। এছাড়া দেশি মুরগির দাম আগের মতোই আছে।
তিনি আরও বলেন, সোনালি ৩১০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা কেজি এবং লেয়ার ৩২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে ক্রেতারা বলছেন, কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। খুচরা বাজারে কোনো মনিটরিং না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
তালতলা বাজারে মো. সাইদুর রহমান নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা দরে মুরগি কিনেছি। আজ ১৯০ টাকায় কিনলাম। বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে সুবিধা নিচ্ছেন। বাজার মনিটরিংয়ের দুর্বলতার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার এসব বাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে। বাজারে বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ৪০০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি কিছুটা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ছোট আকারের ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা এবং গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়।
এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা , মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙাস ১৯০ থেকে ২২০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়, মলা ৪৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১২০০ টাকায় এবং পাঁচমেশালি চাষের মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
এসএমএকে/এফআর