বরিশাল: বরিশালে হঠাৎ করে আড়ৎগুলো থেকে আলু উধাও হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে বরিশাল নগরের আলুর আড়তগুলোতে গিয়ে কোনো আলু পাওয়া যায়নি।
পাইকারি ব্যাপারীরা আলু আমদানি না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে মুদি দোকানিরা আলু কিনতে না পারায় এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।
ইকবাল হোসেন, মিন্টু খানসহ মুদি দোকানিরা জানান, শুক্রবার সকালে বরিশাল নগরের পোর্টরোড ও হাটখোলা এলাকার পাইকারি আড়তগুলোতে গিয়ে কোনো আলু দেখতে পাননি। ফলে আলু কিনতে না পেরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন।
এদিকে খুচরো বাজারে আলুর চাহিদা রয়েছে জানিয়ে নগরের বাংলাবাজার এলাকার মুদি দোকানি রফিকুল ইসলাম বলেন, পাইকার থেকে দুদিন আগেও যে টাকায় আলু কিনতে হয়েছে তাতে খুচরো বাজারে ৪০-৪৫ টাকার নিচে বিক্রি করা কঠিন। আর এ দামে বিক্রি করে জরিমানা গুনতে হতে পারে এমন ভয়ে পাইকার বাজারে দাম না কমা পর্যন্ত খুচরো বাজারে আলু বিক্রি করে শান্তি পাওয়া যাবে না।
এদিকে বড় বাজারের ব্যবাসায়ীদের দাবি, সিন্ডিকেটের দখলে আলুর বাজার। তা না হলে একদিনে গোটা পাইকার বাজার আলু শূন্য হয়ে যায় কিভাবে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।
যদিও নাম প্রকাশ না করার শর্তে আড়তদাররা জানান, আলুর কোনো সংকট নেই। তবে সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার থেকে বেশি দামে আলু বিক্রি করতে চাচ্ছেন না কোনো পাইকার আড়তদার। তাই বেপারী এখানে আলু পাঠাচ্ছে না।
পাইকার বাজারের আড়তদার রিজন জানান, সরকার আলুর একটি রেট নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেটি হলো ৩৫ টাকা। কিন্তু বেপারীরা আমাদের ৩৮-৩৯ টাকায় আলু বিক্রি করতে বলেন। কিন্তু সরকার আর বেপারীদের মাঝে যে ৩-৪ টাকার ব্যবধান তার কোনো সমাধান নেই। ব্যাপারীদের কথা মতো আলু বিক্রি করতে গেলে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে আমাদের জরিমানা গুনতে হবে। কিন্তু আমরা এখানে ব্যবসা করে কমিশন ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছি না, তাহলে জরিমানার টাকা কোথা থেকে দেবো।
এদিকে আড়তদারদের সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের পাইকার বাজারে বেশিরভাগ ব্যাপারী মুন্সিগঞ্জের। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রিতে স্থানীয় আড়তদাররা অপারগতা প্রকাশ করলে তারা (বেপারীরা) এখান থেকে চলে যায়। এ অবস্থায় হিমাগারে দাম নির্ধারণের দাবি পাইকারদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
এমএস/জেএইচ