ঢাকা: রাজধানীর মহাখালী আমতলা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত তিন শিশুর মরদেহ শনাক্তের জন্য ঘটনাস্থলে ৫ ঘণ্টা রাখা হয়েছিল।
এ সময়ের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ জনকে তাদের মরদেহ দেখানো হয়েছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দর রেলস্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুনীল চন্দ্র সূত্রধর এ তথ্য জানান।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ট্রেনের ধাক্কায় তিন শিশুর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সকালের দিকেই মহাখালী আমতলা এলাকায় যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, উড়াল সেতুর পিলার নাম্বার ২৭০ এর পাশের রেললাইনে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ৪৭ নম্বর দেওয়ানগঞ্জগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় তাদের মৃত্যু হয়। ওই তিন শিশু ট্রেনের ছাদে থাকলে তারা পাঁচ থেকে ছয় ফিট দূরে গিয়ে পড়তো। রেললাইন থেকেই তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে ট্রেনের ধাক্কায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তিন শিশুর মরদেহ শনাক্তের জন্য ঘটনাস্থলে পাঁচ ঘণ্টা রাখা হয়েছিল। আশেপাশে ফ্লাইওভারের নিচে ও রেল-লাইনের পাশে থাকে এমন পথশিশুসহ লোকজনদের মরদেহগুলো দেখানো হয়েছে। এছাড়া অনেককেই মোটরসাইকেলে করে এনে মরদেহ দেখানো হয়েছে। তবে কেউ ওই শিশুদের মরদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।
এসআই সুনীল চন্দ্র সূত্রধর জানান, ট্রেনের ধাক্কায় বড় কারো মৃত্যু হলে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে নাম-ঠিকানা জানা যায়। কিন্তু এই তিনজনই হচ্ছে শিশু। তাদের নাম ঠিকানা শনাক্তের জন্য ছবি ও বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া তিন শিশুর জামা কাপড়ের পকেটে একটি কাগজও পাওয়া যায়নি। পরে ওই তিন শিশুর মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর রেডিসন হোটেলের পাশের রেললাইন থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। তাদের বয়স ছিল ১৯ থেকে ২০ বছর।
ওই দিন রাতে এ তথ্য জানিয়েছিলেন বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর। তাদের মরদেহ প্রথমে অজ্ঞাত থাকলেও পরে শনাক্ত করা হয়। দুইজনের শরীরের আঘাত দেখে পুলিশ ধারণা করে, যে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন >>> ট্রেনের ধাক্কায় ৩ শিশুর মৃত্যু, খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
এজেডএস/এফআর