ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা পুরস্কৃত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩
বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা পুরস্কৃত ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হযরত মোহাম্মদ (সা.) ইনস্টিটিউটের আয়োজনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে এক আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

 

আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। বিজয়ীদের সনদপত্র, নগদ অর্থ ও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলছেন। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ রাখছেন।  

তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি ইতিবাচক ঘটনা। এর মাধ্যমে তারা তাদের মেধা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছে। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়ক হবে এবং তাদের সমাজে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পথ সুগম করবে।

আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেসকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী, ঢাকাস্থ ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওতামানসহ বিশিষ্টজনেরা।

আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন হযরত মোহাম্মদ (সা.) ইনস্টিটিউটের প্রধান উপদেষ্টা শেখ আব্দুল লতিফ আল কারী আল মাদানী।  

বাছাই করা প্রতিযোগীরা হামদ-নাথ পরিবেশন করে এবং পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রচনা পাঠ করে। এ ছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা টেকনোলজির মাধ্যমে কীভাবে নিজেদের উন্নয়ন করছে এবং বিভিন্ন কাজ করছেন, তা দেখানো হয়।

এর আগে, সারাদেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা বয়সভেদে কোরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাত-এ রসুল (সা.), কম্পিউটার ট্রেনিং, আইটি এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল-  ‘মহানবী হজরত (সা.) এর জীবন ব্যবস্থা সব যুগের মানুষের জন্য আদর্শ’। সুবিধাবঞ্চিত এই শিক্ষার্থীদের প্রতিভা ও দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ সৃষ্টি করাও ছিল এই প্রতিযোগিতার আরও একটি উদ্দেশ্য। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। পাঁচটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত এবারের প্রতিযোগিতায় ৩০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সেন্টার-ফর-যাকাত ম্যানেজমেন্ট, টি-স্পোর্টস এবং ইউনিক হোটেল ও রিসোর্টসের পৃষ্ঠপোষকতায় এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩
এইচএমএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।